পৌনে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ যুবলীগ নেতা খালেদের - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
পৌনে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ যুবলীগ নেতা খালেদের - Shera TV
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন

পৌনে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ যুবলীগ নেতা খালেদের

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:

সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।  অভিযোগপত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাচারের তথ্য রয়েছে।

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

দুদক জানিয়েছে, শিগগিরই অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালেদ তার অবৈধ আয়ের কয়েকটি উৎসের কথা বলেছেন জিজ্ঞাসাবাদে। তিনি বলেছেন, মতিঝিলের ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে তিন মাসে ৪০ লাখ টাকা আয় করতেন।

মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে তার মাসিক আয় তিন লাখ টাকা। ফুটপাত থেকে তিনি মাসিক ২০ হাজার টাকা নিতেন। শাহজাহানপুর লেগুনাস্ট্যান্ড থেকে নিতেন ৩০ হাজার টাকা। শাহজাহানপুর রেলওয়ে গেট বাজার থেকে নিতেন ৬০ হাজার টাকা।

জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তা জানান, খালেদ বিভিন্ন উৎস থেকে অবৈধ আয়ের যে হিসাব দিয়েছেন, প্রকৃত আয় আরও বেশি।

জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে যুক্ত এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, খালেদ অবৈধ আয়ের ভাগীদার হিসেবে যাদের নাম বলেছেন তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন।

এদের একজন খালেদের কাছ থেকে পূর্বাচল প্লটের জন্য ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর ইসমাইল হোসেন সম্রাট একাধিক ঠিকানা বদল করে এই প্রভাবশালী নেতার বাসায় আত্মগোপন করেন।

এদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউছার তার কাছ থেকে ২০১৫ সালে ৫০ লাখ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট নিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা।

আবদুর রহমান এবং নুরুল হুদা নামে দু’জন নিয়েছেন ২ কোটি টাকা। আনিছুর রহমান নিয়েছেন ৪০ লাখ টাকা। যুবলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা দুই ঈদে তার কাছ থেকে নিয়েছেন ২০ লাখ টাকা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, খালেদ তাদের বলেছেন, ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি। তবে ঢাকার ক্লাবপাড়াসহ নগরীর ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের মূল নিয়ন্ত্রক ছিলেন ইসমাইল হোসেন সম্রাট।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360