সেরা ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেকটি দুঃসংবাদ পেয়েছেন। পেনসিলভানিয়ার ভোট পুনর্গণনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মামলা খারিজ করে দিয়ে ফেডারেল আপিল আদালত বলেছেন, ভোট জালিয়াতির অভিযোগের কোনো সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ নেই।
৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এবং নিজেকে জয়ী দাবি করে যেসব রাজ্যে ট্রাম্প মামলা করেছিলেন সবক’টিতেই তিনি হেরেছেন। ওই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হয়েছেন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
ফেডারেল আপিল আদালতে পেনসিলভানিয়ার ভোট পুনর্গণনা নিয়ে ট্রাম্প শিবিরের করা মামলা খারিজ হওয়ার আগে নিæ আদালতও মামলাটি খারিজ করে দেন। এখন মামলাটি সুপ্রিমকোর্টে নিয়ে যাবেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। সুপ্রিমকোর্টের নয় বিচারপতির মধ্যে ট্রাম্প ঘরানার বিচারপতির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
ফেডারেল আপিল আদালতের বিচারক স্টেফানোস বিবাস বলেন, মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি। সেখানে স্বচ্ছতার অভিযোগ তোলা গুরুতর বিষয়। তবে নির্বাচনকে অস্বচ্ছ বললেই তা সেরকম হয়ে যায় না।
ট্রাম্পের মনোনীত বিচারক বিবাস আরও বলেন, যে কোনো অভিযোগ নির্দিষ্ট হতে হয় এবং এরপর প্রমাণ করতে হয়। যার কোনোটাই এখানে নেই। এর আগে পেনসিলভানিয়া ফেডারেল আদালত ভোটের ফলাফল প্রত্যয়ন করার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল বাতিল চেয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি আদালতে মামলা করেছিলেন।
তিনি জানান, পেনসিলভানিয়া ছাড়াও মিশিগান, নাভাদা, অ্যারিজোনা ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটে অনিয়ম নিয়ে একইভাবে তারা সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত রাজ্য পর্যায়ের আদালতে, এমনকি সার্কিট কোর্টেও ভোট জালিয়াতি বা কারচুপির প্রমাণ ট্রাম্প শিবির উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ট্রাম্পের আইনজীবী দলের অন্যতম জেনা এলিস এক টুইটবার্তায় বলেন, পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বিচার বিভাগ রাজনৈতিক কারণে ভোট জালিয়াতি আড়াল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে এখন বিষয়টি প্রমাণের জন্য তারা সুযোগ পাবেন। এজন্য এমন রায়কে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ট্রাম্প শিবির আশা করছে, সুপ্রিমকোর্টের নয় বিচারপতির মধ্যে ট্রাম্প ঘরানার বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক মতাদর্শে অসম বিভক্ত সুপ্রিমকোর্ট থেকে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে ফেলার কোনো আদেশ আসতে পারে বলে কোনো আইন বিশ্লেষকও মনে করেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। সেখানে বাইডেন ৩০৬টি আর ট্রাম্প ২৩২টি ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল আসার পর থেকেই পরাজয় স্বীকার করতে অসম্মতি জানান ট্রাম্প এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই একের পর এক তিনি জালিয়াতির অভিযোগ তুলেই যাচ্ছেন।
সেরা নিউজ/আকিব