ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমেরিকায় সাড়ে চার লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমেরিকায় সাড়ে চার লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা - Shera TV
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমেরিকায় সাড়ে চার লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্ররে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড সতর্ক করে দিয়েছেন, আগামী তিন মাস পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমেরিকায় সাড়ে চার লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তিনি।

পরিস্থিতি যে এ রকম হবে, তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. অ্যান্টনি ফাউসি। কারণ যে পরিমাণ লোক থ্যাঙ্কস গিভিংয়ে পার্টি করেছে, তাতে সংক্রমণ বাড়বে। প্রশাসনের এখন চিন্তা, এত রোগীর চিকিৎসার ভার সামলানো নিয়ে। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ হাসপাতালে আর শয্যা ফাঁকা নেই। একটানা পরিষেবা দিয়ে ক্লান্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের একটা বড় অংশও করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে করোনা। প্রতিদিন রেকর্ড গড়ছে সংক্রমণ। মিনিটে গড়ে আক্রান্ত হচ্ছে ৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৫। রেকর্ড মৃত্যুতেও। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৩১ জনের। গত এক বছরে ভাইরাসের কোপে ২ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু এত বিশালসংখ্যক দৈনিক মৃত্যু এই প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার দিনে নিহত মানুষের সমান মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। জাতীয় দুর্যোগের এ সময়ে নির্বিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদিন হাজারও মানুষের মৃত্যু সত্তে¡ও নীরবতা পালন করছেন তিনি।

করোনার সংক্রমণ নিয়ে শোচনীয় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। দৈনিক সংক্রমণ এখন দু’লাখের আশপাশেই থাকছে। নভেম্বরে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ মানুষ নতুন করে করোনা-আক্রান্ত হয়েছে। ‘কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট’ নামে একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে আমেরিকার হাসপাতালগুলোতে মোট ১ লাখ ২২৬ জন করোনা-আক্রান্ত হয়ে ভর্তি। গত এক বছরে এ রকম পরিস্থিতি এই প্রথম। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শুরু হতেই দৈনিক গড় মৃত্যুর সংখ্যা ২৮০০ পেরিয়ে গেছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার জনের।

সামনে শীত আসছে। সিডিসির ডিরেক্টর রবার্ট রেডফিল্ড বলেছেন, ‘বাস্তব হল, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্র“য়ারিÑ এই তিনটা মাস দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ইতিহাসে কঠিনতম অধ্যায় হতে চলেছে।’ সিডিসির আরেক কর্মকর্তা সিন্ডি ফ্রেডম্যান পর্যটকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখেন। তার কথায়, ‘সরকারের পরামর্শ না মেনে বহু লোকজন থ্যাঙ্কস গিভিংয়ের ছুটিতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। হয়তো যারা বেরিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে খুব সামান্যসংখ্যক মানুষের শরীরে ভাইরাস ছিল। কিন্তু তাদের থেকে সংক্রমণ হয়তো কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ছড়িয়ে গেছে আশপাশের লোকজনের মধ্যে।’

ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডা- এই তিনটি রাজ্যের জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থাও এদের। প্রতিটি প্রদেশে ১০ লাখের বেশি করোনা-আক্রান্ত। লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ভয়ানক বেডড়েছে সংক্রমণ। মেয়র এরিক গারসেট্টি শুক্রবার একটি জরুরি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, কোনো বাসিন্দা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না।

বর্তমানে আমেরিকায় সংক্রমণের মৌচাক লস অ্যাঞ্জেলেস। কিন্তু এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই ট্রাম্পের। শুরু থেকেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পক্ষে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেননি তিনি। মাস্ক পরা নিয়ে তিনি কয়েক দফা উপহাসও করেছেন। নিজে সংক্রমিত হয়েও ট্রাম্প তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেননি। তার সমর্থকদের মধ্যে এখনও মাস্ক পরাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। নিজেও বেশ কয়েকটি পার্টির আয়োজন করছেন ক্রিসমাসের আগে।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360