বিনোদন ডেস্ক :
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশিদ অপুর অঙ্গে শবনম ফারিয়ার বন্ধুত্ব হয়। এরপর ফেসবুকে কথা বলতে বলতে তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন মজবুত হয়। তিন বছর ধরে তাদের দুজনের বন্ধুত্ব। একটা সময় তারা দুজনেই পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করেন। অপু-ফারিয়ার সম্পর্ক তাদের দুই পরিবার জানলে এতে পূর্ণ সমর্থন দেন। ফারিয়ার কাছ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের একেবারে ঘরোয়াভাবে আঙটি বদল হয়।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ধুমধাম করে বিয়ে হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে টিকল না তাদের। গত শুক্রবার বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফারিয়া-অপু দম্পতির। বিয়ে নিয়ে মুখরোচক খবর না ছড়াতে গতকাল শনিবার ফেসবুকে এক যৌথ বিবৃতি দেন তাঁরা।
বিচ্ছেদের পর সম্পর্কের শেষটাও সুন্দর হতে পারে। সে রকমই প্রত্যাশা অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। সাবেক স্বামীর সঙ্গে পাঁচ বছরের সম্পর্কটাকে ছোট করতে চান না তিনি।
এদিকে শবনম ফারিয়ার বিচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই বলছেন, ‘আমাকেই বিয়ে করো। তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’ ‘যদি দ্বিতীয় করতে চাও তবে আমিই তোমাকে বিয়ে করবো।’ এমন সব প্রস্তাব শবনম ফারিয়া পেয়েছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলের বিভিন্ন মাধ্যমে, মুঠোফোনে।
এমজন বেশকিছু বিবাহের লিখিত প্রস্তাবের ছবি তুলে প্রকাশ করেছেন শবনম ফারিয়া। যার অনেকগুলোই খুবই সিরিয়াসভাবে লিখেছেন বলেই মনে হচ্ছে।
হিসেব অনুযায়ী অপুর সঙ্গে ফারিয়ার সম্পর্কের বয়স পাঁচ বছর। হঠাৎ করেই অপুর স্মৃতি ভোলা যাবে না উল্লেখ করে ফারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে মানুষটার সঙ্গে গত পাঁচ বছর আমার জীবন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল, সেই মানুষটার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে, যা চাইলেই হঠাৎ করে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বিচ্ছেদের পরে তাঁকে কীভাবে ছোট করি।’
শবনম ফারিয়া এই বিচ্ছেদে যখন ব্যথিত হয়েছেন তখন সে ক্ষতে আঘাত করেছে সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। বলেছেন কটূকথা, বলতে ছাড়েন নি মিডিয়ার বিয়ে এমনই হয়। অন্তত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মন্তব্যে বাক্সে এমন মন্তব্যে পরিপূর্ণ। ফারিয়া নিজেকে ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। আপাতত তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয়। রয়েছেন ফেসবুক থেকে দূরে।
ফেসবুক থেকে সরে গেলেও বিবাহের প্রস্তাব থেকে রেহাই পাচ্ছেন না জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
সেরা টিভি/আকিব