লাইফস্টাইল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জেমস ডিক্লেন্টনি তার নতুন বই দ্য ইমিউনিটি ফিক্সে করোনার দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন পদ্ধতির সন্ধান দিয়েছেন। হাতের কাছেই আছে এমন কিছু খাবার যা করোনার দিনে সহজেই প্রতিরোধের দেওয়াল তৈরি করতে পারে শরীরে এমনটাই বলছেন জেমস। জেমস বলেছেন, করোনার সময়ে রোগ প্রতিরোধের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কিছু খাবার নিয়মমাফিক খেলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
সেলেনিয়াম:
অনেকেই সেলেনিয়াম সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। সেলেনিয়ামের ঘাটতি করোনভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সেলেনিয়ামের ঘাটতি রইবো নিউক্লিক অ্যাসিডের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেই কারণেই অন্য ভাইরাসের সংক্রমণেরও ঝুঁকি বাড়ায়। এতে হাত ও মুখের সংক্রমণ হতে পারে। একই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকিও রয়েছে।
ভিটামিন ডি:
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি এর অভাব করোনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অনেকগুলো ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে শরীরে করোনার সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। রোদে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
লবণ:
লবণের মধ্যে পাওয়া ক্লোরাইড রোগ প্রতিরোধ করে। অনেকেই বুঝেতে পারে না যে, লবণ কোনও বিষ নয়, এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ।
জিঙ্ক:
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জিঙ্কের অভাব রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, বহু প্রদেশের লোকেরাই জিঙ্কযুক্ত খাবার কম খান। ঝিনুক, কাঁকড়া, বাদাম এবং বীজে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। দস্তার ঘাটতি সহজেই আপনার শরীরে অনেকগুলি ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
তামা:
জিঙ্কের মতো, তামা শরীরের জন্য একটি প্রয়োজনীয় খনিজ। তামা শরীরের ইমিউন সিস্টেমের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শরীরকে আয়রন ব্যবহারে সহায়তা করে।
ভিটামিন সি:
ভিটামিন সি মানুষের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন সি সংক্রমণে লড়াইয়ের প্রতিরোধক কোষের ক্ষমতা বাড়ায়। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে সংক্রমণের পরে ভিটামিন সি গ্রহণ করা করার চেয়ে নিয়মিত খাওয়ায় ভালো।
গ্লুটাথিয়ানিন জাতীয় খাবার:
ফুসফুসের প্রদাহ রোধ করে গ্লুটাথিয়ানিন জাতীয় খাবার। এই ধরনের খাবার রাখা উচিত ডায়েটে।
সেরা টিভি/আকিব