আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

সেরা ডেস্ক রিপোর্ট:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এদিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের
হত্যার ঠিক দুইদিন পর ১৬ই ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। একাত্তরে ত্রিশ লাখ শহীদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। চরম বিপর্যয় আসন্ন, পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে- তখনই তারা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে। তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এভাবেই অন্ধকার করার পাঁয়তারা করেছিল।

তবে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে একাত্তরের ২৫শে মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনে নামে, তখনই দেশে এবং দেশের বাইরে একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের এভাবে হত্যা করা হতে পারে। পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দু’টি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত। মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী আরো অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন-অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরো অনেকে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এবার করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৯টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন এবং সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১০টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।

প্রাথমিকভাবে ১২২২ বুদ্ধিজীবীর তালিকা অনুমোদন:
প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জন বুদ্ধিজীবীর তালিকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এ তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৫শে মার্চ থেকে শুরু করে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়কাল ধরে বুদ্ধিজীবীদের এ তালিকা করা হবে। গতকাল মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বুদ্ধিজীবীদের সংজ্ঞা নির্ধারণে সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী সভায় এটি লিখিত আকারে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে এটি অনুমোদন হতে পারে। কারা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিবেচিত হবেন, সেটার আউটলাইন ঠিক করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে এক হাজার ৭০ জন শহীদের তালিকা হয়েছিল। পরে ডাক বিভাগ ১৫২ জন শহীদের ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। মোট এক হাজার ২২২ জন হয়েছে, সেই তালিকাকে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে আরো আবেদন এসেছে, ভবিষ্যতে হয়তো আরো আসবে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হবে।
বুদ্ধিজীবীদের সংজ্ঞা ঠিক করার পর যাচাই-বাছাই কোন্‌ প্রক্রিয়ায় হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা সরাসরি এখান (কমিটি) থেকেই করবো নাকি জেলা-উপজেলাভিত্তিক কমিটির প্রয়োজন হবে, সেগুলো আগামী সভায় নির্ধারণ হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর মধ্যে তালিকা সংযুক্ত করে শেষ করবো। দীর্ঘদিন চলে গেছে, আর সময়ক্ষেপণ করা হবে না। বেজলাইন হিসেবে ধরে নিয়েছি, বাংলা একাডেমির একটা সংজ্ঞা আছে, বাংলাপিডিয়ারও আরেকটি সংজ্ঞা রয়েছে। এই দুটোর সমন্বয় করে আজও কিছু আলোচনা হয়েছে। সেগুলো কম্পাইল করে নতুন সংজ্ঞা আগামী সভায় পেশ করা হবে। এরপর সেটা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের জন্য গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ১৯শে নভেম্বর যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360