লাইফস্টাইল ডেস্ক:
গোটা বিশ্বে দিন দিনই ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, ব্যায়াম এবং জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামুলকভাবে বেশি। এ কারণে তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার।শীতের এ সময় সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
সকালের নাস্তা : শীতের সময় সকালের নাস্তায় বেশি পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের। এর মধ্যে মৌসুমি ফল ও সবজি রাখতে পারেন। এ সময় পাওয়া মিষ্টি আলুও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া ফলের মধ্যে কমলা ও পেয়ারাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সকালের নাস্তায় এসব খাবারের পাশাপাশি চিনি ছাড়া চা-কফি, সিদ্ধ ডিম রাখতে পারেন।
দুপুরের খাবার : ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এই উপাদানটি হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া রোধ করে। দুপুরের খাবারের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই খাদ্যতালিকায় শাকসবজি যেমন- পালং শাক, সরিষার শাক, গাজর, মুলা যোগ করবেন। পাশপাশি ভাত বা রুটি খেলে খেলেও তার পরিমাণ হবে অল্প।
বিকালের নাস্তা : ডায়াবেটিস রোগীদের সারাদিনই কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে অল্প করে খাবার খাওয়া উচিত। দুপুরের খাবারের দুই ঘন্টা পর অল্প ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন- আপেল, পেয়ারা, বাদাম, শসা, গাজর, মুলা খেতে পারেন।
রাতের খাবার : শীতের এ সময় রাতের খাবারে মুরগীর স্যুপ, সালাদ, পর্যাপ্ত শাকসবজি, গরম পানীয় রাখতে পারেন। রাতে রুটি দিয়ে সরিষার শাকও খেতে পারেন। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের এ সময় সুস্থ থাকতে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, চিনিযুক্ত খাবার ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কারো যদি হঠাৎ করে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে ডার্ক চকলেট বা বাদাম খেলে উপকার পাবেন। সূত্র :টাইমস অব ইন্ডিয়া
সেরা টিভি/আকিব