লাইফস্টাইল ডেস্ক:
শীতকালে গরম ধোঁয়া ওঠা কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিতে কার না ভালো লাগে। এসব পানীয় যে শুধু শরীরে আরাম দেয় তাই নয়, এর সঙ্গে শীতকালের ঝিমুনি কাটিয়ে শক্তিও বাড়ায়। কারো পছন্দ দুধ-চিনি দিয়ে চা-কফি, কেউ আবার দুধ-চিনি ছাড়াই কালো চা বা কফি খেতে ভালোবাসেন। এ দুটি পানীয়ের মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই দ্বিধান্বিত হন। কালো চা বা কফি খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
কালো কফি : যারা ফিটনেস নিয়ে বেশি ভাবেন তারা কালো কফি খেতে খুবই পছন্দ করেন। বিশেষ করে ভারী ব্যায়ামের পর এক কাপ কালো কফি আদর্শ পানীয় হতে পারে। এটি ব্যায়াম করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। সেই সঙ্গে বিপাকের হার বাড়ায়। কালো কফির মধ্যে ক্যাফেইন ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এপিডেমিয়োলজি’তে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, যারা নিয়মিত কালো কফি খান, তাদের মধ্যে স্থূলতা এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এ ছাড়া এক কাপ কালো কফিতে জিরো পরিমাণে ক্যালরি থাকে।
কালো চা : কালো কফির তুলনায় কালো চায়ের মধ্যে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকে। কালো চায়ের মধ্যে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না। কালো চা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশ’নে প্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী, যারা নিয়মিত কালো চা পান করেন, তারা অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে পারেন। এক কাপ কালো চায়ে ২ ক্যালোরি থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো কফি এবং কালো চা, দুটিই স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে বিবেচিত। যারা যার পছন্দ অনুযায়ী পানীয় বেছে নিতে পারেন। যদি সকালে ওয়ার্ক আউট বা ব্যায়াম করেন, তাহলে কালো কফি খেতে পারেন। কারণ সকালে কালো কফি খেলে বিপাকের হার অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি খুব বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করতে না চান তাহলে কালো চা খাওয়াই ভালো। যারা উচ্চ রক্তচাপ এবং অতিরিক্ত উৎকণ্ঠায় ভোগেন তাদের কালো কফি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তবে সন্ধ্যার পর কারোরই কালো কফি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
সেরা টিভি/আকিব