গভীর রাতে পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসের বাসভবন ছাড়লেন ভিসি - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
গভীর রাতে পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসের বাসভবন ছাড়লেন ভিসি - Shera TV
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন

গভীর রাতে পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসের বাসভবন ছাড়লেন ভিসি

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:

৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে চাপ দেওয়ায় নিরাপত্তার অভাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসের বাসভবন থেকে ঢাকায় চলে গেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেম। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। এর আগে দিনভর পরিবার নিয়ে বাসভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর হাবিপ্রবিতে ৬২ জন শিক্ষক এবং গত বছরের ২৬ ও ২৮ জানুয়ারি ২২ জন কর্মকর্তা ও ৫০ জন কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর করোনা পরিস্থিতি ও নানা অভিযোগে বন্ধ থাকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে আগামী ৩১ জানুয়ারি ভিসির চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় চাকরিপ্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষক এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। এ নিয়ে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে ভিসির মতোবিরোধও চরমে পৌঁছে। এ নিয়ে প্রথম দফায় ১৭ জন শিক্ষক কর্মবিরতি করেন। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে চাকরিপ্রার্থী ছাত্ররা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।

বিকালের দিকে বেশকিছু ছাত্র বাসভবনের প্রাচীর টপকে ভেতরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রশাসনকে খবর দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকরাও ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম মাগফুরুল আব্বাসী ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার সেখানে যান। গভীর রাতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ভিসির বাসভবন থেকে চলে যান।এরপর রাত ৩টায় পরিবার নিয়ে বাসভবন ছেড়ে সড়ক পথে ঢাকায় রওয়ানা হন ভিসি আবুল কাশেম। এ সময় তিনি লিখিতভাবে ট্রেজারার ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে দায়িত্ব দিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ট্রেজারার ড. বিধান চন্দ্র হালদার জানান, বুধবার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিষয়ে বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি গভীর রাতে চলে যাওয়ায় এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভিসি ড. মু. আবুল কাশেম বলেন, ‌‘চাকরির দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর পরিবারসহ আমাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হকসহ অন্য শিক্ষকরা বাসভবনে আসেন।’ ভিসি বলেন, ‘তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি এবং করবেনও না।’ আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কোনোভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। এ অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে এবং তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাতেই সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বল্পতা আছে বলেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ভাইস চ্যান্সেলর দীর্ঘদিন থেকেই এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছেন। চাকরিপ্রার্থীরা তাকে নিয়োগের জন্য চাপ দিলেও শিক্ষকরা কোনো চাপ দেননি বলে তিনি দাবি করেন।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360