অনলাইন ডেস্ক:
একটা সময় ছিল, যখন রিকশার পেছনে চমৎকার সব পেইন্টিং থাকত। চোখ জুড়িয়ে যেত। কখনও দেখা যেত সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের ছবি। কখনও লাল, নীল, সবুজ, বেগুনি রঙের নানা জিনিসের প্রতিকৃতি। মানুষের মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত বনের পশুপাখির পেইন্টিংও ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া লতা-পাতা-ফুল-পাখির নকশা কিংবা বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সিনেমার কাহিনি, বীরত্বগাথা, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মীয় কাহিনি, সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আঁকা ছবি দেখা যেত রিকশাচিত্রে।
এনামেল রঙ দিয়ে আঁকা এই চিত্রকর্মগুলোর প্রতি একেকজন মানুষের একেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কারও কাছে এগুলো খুব পছন্দের। কারো কাছে আবার এগুলোকেই ‘খ্যাত’ আনাড়ি কিংবা হাস্যকর। তবে রিকশাচিত্র যেমনই হোক, এসব চিত্রকর্মে প্রাথমিক রঙের ব্যবহার এবং সরল অংকন-রীতি হাজার বছরের বাংলাদেশ এবং এদেশের সাধারণ মানুষকে তুলে ধরে। এই রংগুলো একান্তই আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির রং। এই অংকন-রীতি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের মতোই সরল এবং প্রাণবন্ত।
এক সময়ের সমৃদ্ধ বাংলার বিলুপ্ত-হয়ে-যাওয়া অন্যান্য সব কারুশিল্পের মতো এ কারুশিল্পও এখন তার শেষ সময়টা পার করছে। কারণ এখন রিকশার পেছনের অংশটা দখল করে নিয়েছে প্রিন্টেড সব বিজ্ঞাপন।
তবে করোনার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আবারও ফেরানো হয়েছে রিকশা পেইন্টিং। একটি সংগঠন রিকশার পেছনে বিভিন্ন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ছবি এঁকে করোনার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করছে। মাস্ক পরতে বলছে। এইসব পেইন্টিংয়ে আছেন ফেলুদা, বড় চাচা, আয়নার মতো জনপ্রিয় সব চরিত্র।
সেরা টিভি/আকিব