স্পোর্টস ডেস্ক:
কুঁচকিতে চোটের কারণে ঢাকা টেস্ট খেলছেন না সাকিব, তা আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল। চোটের কারণে সাদমানও ছিটকে গেছেন। সাকিব ও সাদামনের বদলি হিসেবে কাকে নির্বাচন করা হবে তা নিয়েই চলছিল বিস্তর আলোচনা।
ধারণা করা হচ্ছিল, সাদমান ও সাকিবের ছিটকে পড়ায় স্টাইলিশ ওপেনার সাইফ হাসানকে দলে সুযোগ পেতে পারেন। শুরু থেকেই স্কোয়াডে ছিলেন সাইফ। নেটে নিয়মিত প্র্যাকটিস করে গেছেন। টেস্টের আগে চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেছেন। অর্থাৎ সাকিব বা সাদমানের বদলি হিসেবে সাইফকে ভাবা হচ্ছিল স্বাভাবিকভাবেই।
কিন্তু তা আর হলো কই! স্কোয়াডে না থেকেও বদলি হিসেবে একাদশে ঢুকে গেলেন সৌম্য সরকার। নেওয়া হলো মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুনকে। ওপেনার সাইফ হাসান চট্টগ্রামের পর মিরপুর টেস্টেও হয়ে দর্শক হয়ে রইলেন।
সাইফকে কেন নেওয়া হলো না সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
বলেছেন, প্রস্তুতি ম্যাচে আর নেটে টিম ম্যানেজমেন্টের মন ভরাতে পারেননি সাইফ। আর অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে সৌম্য।
জানা গেছে, সাকিবের জায়গায় সৌম্য নয়; মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মিথুনকে নেওয়া হয়েছে। আর সাদমানের জায়গায় সৌম্য।
যে কারণে প্রশ্ন ওঠে, সাদমানের জায়গায় সাইফ কেন নয়?
জবাবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেন, একাদশ নির্বাচন মূলত টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমরা স্কোয়াড গড়ি। তবে যতটুকু জানি, সাইফকে খুবই নড়বড়ে মনে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। প্র্যাকটিস ম্যাচে সে ভালো ব্যাট করেনি। নেটেও তাকে খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। আর অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছে সৌম্য। বোলিংটাও আছে সৌম্যর।এসব দিক বিবেচনা করে এই টেস্টে হয়ত সৌম্য়কে বেছে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট ।
তবে সাইফকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে না বলেও জানান নান্নু। বললেন, সাইফ কিন্তু সিস্টেমের মধ্যেই আছে। জাতীয় দলের সঙ্গে রেখে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে তাকে। সামনে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল আসছে, সেখানে চার দিনের ম্যাচে সে খেলবে। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে সে নিয়মিত পারফরমার। আমাদের পরিকল্পনায় সাইফ ভালোমতোই আছে। ওকে সেটা বলাও হয়েছে। সাইফও নিশ্চয়ই সামনে সুযোগ পাবে।
সেরা টিভি/আকিব