স্বাস্থ্য ডেস্ক:
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা নারীদের পিরিয়ডের ব্যথা হওয়াকে নানা ভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। গাইনোকোলজিস্টরা বলেন, গর্ভাশয়ে পেশী সংকোচনের কারণে পর্যায়ক্রমে ব্যথার উৎপত্তি হয়ে থাকে।
শারীরিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা একজন নারীর সার্বিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু পিরিয়ডের সময় ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে একটু বেশি মনোযোগ দিতে হয়। নারীদের সকলের কাছে পিরিয়ড এক রকম মনে হয়না। যেমন, কারো কারো ক্ষেত্রে পিরিয়ড অনেক বেশি অস্বস্তিকর, আবার কারো কাছে কোনো সমস্যাই মনে হয়না।
ডাক্তার অরুণা কালরা, একজন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, কর্মরত রয়েছেন ভারতের গুরগাঁওয়ের সিকে বিরলা হাস্পাতালে। ভারতীয় গনমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান টাইমসকে জানান, পিরিয়ডের ব্যথা নানা কারনে হতে পারে। তিনি কিছু কারণ বর্ণনা করেন।
ডাক্তার কালরা বলেন, জরায়ু ফাইব্রয়েডগুলি জরায়ুর দেওয়ালে অ-ক্যান্সারজনিত বিকাশ। যা মানুষের চোখে পরা প্রায় কঠিন। তবে তাদের সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে জরায়ুকে বড় করতে পারে।
– এন্ডোমেট্রিওসিস এমন একটি অবস্থা যখন জরায়ু বাহিরের দিকে বড় হতে থাকে। সাধারনত, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্বাশয় এমনটি বেশি ঘটে। ফলস্বরূপ, টিস্যুগুলি ঘন হয়ে আসতে থাকে এবং আস্তরণটি ভেঙ্গে যায়। আস্তরন ভেঙ্গে যাওয়ার ফলেই ব্যথা হয়।
– যখন জরায়ু খুব ছোট হয়, তখন জরায়ু স্টেনোসিস জরায়ু এবং যোনি খালের মাঝ পথে বাধা সৃষ্টি করে। এই বাধা পিরিয়ডের স্বাভাবিক প্রবাহতে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ব্যথা অনুভূত হয়।
– ডাক্তার কালরা আরও বলেন, পিআইডি নারীদের যৌনাঙ্গের একটি সংক্রমণ। এটি এক ধরনের যৌন সংক্রমণ। রোগটিকে অনেকে শ্রোণী প্রদাহজনক রোগ হিসেবে চেনেন। এ রোগ যোনি থেকে জরায়ুতে, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্বাশয়তেও ছড়িয়ে পরতে পারে।
– জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আস্তরণটি জরায়ুর পেশী প্রাচীরে বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থা কে অ্যাডিনোমোসিস বলে। এমন সময় মারাত্মক বাধার সৃষ্টি হয় এবং ভারী রক্তপাত ঘটে। পাশাপাশি তীব্র ব্যথা হয়।
সেরা টিভি/আকিব