সেরা এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। মৃত্যুর আগে সন্তানদের কাছে এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার কথা বলে যান তিনি। শনিবার বাদ আসর তার দাফন সম্পন্ন।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। গত বুধবার সকালে তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
কিন্ত হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছিলেন না এ অভিনেতা। তাই অবস্থা কিছুটা ভালো হলে শুক্রবার তাকে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় ফেরার একদিনের মাথায় চিরবিদায় নিলেন তিনি।
শনিবার বাদ জোহর নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে এটিএম শামসুজ্জামানের প্রথম জানাজা হয়। তিনি এই পীরের মুরিদ ছিলেন।
প্রথম জানাজা শেষে সূত্রাপুরে কমিউনিটি সেন্টারে তার মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। পরে পর সূত্রাপুর জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর চিরনিদ্রায় শায়িত হোন জুরাইন কবরস্থানে।
আবু তাহের মোহাম্মাদ (এটিএম) শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
অভিনেতা হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করে তিনি আলোচনায় আসেন।
কিংবদন্তি এ অভিনেতা ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এরপর ১৯৯৯ সালে ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমায় কমেডিয়ান চরিত্রে, ২০০১ সালে ‘চুড়িওয়ালা’, ২০০৯ সালে ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য এবং ২০১৭ সালে ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন এই অভিনেতা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি একুশে পদক পান।
সেরা টিভি/আকিব