অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) কেবিন ক্রু তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘ব্যাড বয়’ খ্যাত নাসির হোসেন। আর বিয়ের পরই শুরু হয় নাসিরের বউ নিয়ে বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, ৮ বছরের কন্যাকে রেখে আগের স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরের সঙ্গে বিয়ে করেছেন স্ত্রী তামিমা।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাইসা ইসলাম বাবুনি নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। যেখানে তামিমার স্বামী রাকিবের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এখনও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের ঘরে রয়েছে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তানও। তালাক না দিয়ে নতুন বিয়ে করায় তামিমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব।
এসবের মাঝেই বিতর্ক শুরু হয়েছে- নাসির-তামিমার বিয়ে ইসলামি শরীয়ত মতে বৈধ হয়েছে কি-না।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ইসলামি শরীয়তের আলোকে বিষয়টি ব্যাখা করেছেন। তিনি বলেছেন, নাসিরের বর্তমান স্ত্রী তামিমার সঙ্গে তার পূর্বের স্বামীর যদি শরীয়তসম্মতভাবে ছাড়াছাড়ি না হয়ে থাকে, তাহলে কোনভাবেই নাসিরের সাথে তার এই বিয়ে বৈধ নয়। তবে এর জন্য এখানে আমাদের দু’টি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।
প্রথম বিষয় হলো, তামিমার সাথে তার প্রথম স্বামীর ছাড়াছাড়িটা ইসলামী শরীয়ত সম্মতভাবে হয়েছে কি-না। আর ডিভোর্স লেটার পাঠানো এবং সেই ডিভোর্স লেটারটি ইসলামী শরীয়ত সম্মতভাবে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া পর্যন্ত পৌঁছেছে কি-না, এই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
আর দ্বিতীয় বিষয় হলো, যদি তার (নাসিরের স্ত্রী তামিমা) শরীয়ত সম্মতভাবে ছাড়াছাড়ি বা বিচ্ছেদ হয়ে থাকে, তবুও তাকে তিন মাস অথবা তিন পিরিয়ডের সময় পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হবে। সেটা হয়েছে কি-না নিশ্চিত করতে হবে।
এই দুটি বিষয়ের কোন একটি বিষয় যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে নাসিরের বিয়ে শুদ্ধ হবে না। বরং এটি একটি অবৈধ বিয়ে।
এখন তাদের জন্য করণীয় হলো, যদি তারা ঘর সংসার করতে চায়, তাহলে আমরা যে দুটি শর্তের কথা বলেছি-এই দুটি শর্ত মেনে তারপর তাদের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় এটি বিয়ে তো হবেই না বরং এটি যিনা-ব্যভিচার হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
সেরা টিভি/আকিব