সেরা এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
এবার অনন্ত জলিলের আগের সব সিনেমার বাজেট ছাড়িয়ে গেছে তার সিনেমা ‘দ্বীন দ্য ডে’ সিনেমার খরচ। অনন্ত নিজেই জানান, এ সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি টাকা।
কেন শত কোটি টাকা লাগছে? অনন্ত গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সিনেমাটির যে পেক্ষাপট এবং ব্যাপ্তি তা দর্শক পর্দায় দেখলেই বুঝতে পারবেন। এ সিনেমাটি তো শুধু আমাদের দেশের জন্য নির্মিত হচ্ছে না, এটি একটি আন্তর্জাতিক সিনেমা। হলিউড-বলিউডে যেসব সিনেমা নির্মিত হয়, তা কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারকে সামনে রেখে করা হয়। আমার এ সিনেমাটিও সেই লক্ষ্যেই নির্মিত হচ্ছে। শুটিং হয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ ও তুরস্কে।
এত বাজেট আর এত লোকেশনের কথা বলে ছবিটির যে টিজার প্রকাশ করেছেন, তা পড়েছে তুমুল সমালোচনার মুখে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে ট্রোল। নেটিজেনরা বলছেন, ‘এটা তো সিনেমা নয়, আলিফ লায়লা।’ অনেকেই অনন্ত জলিলের ফেসবুক পেইজে কড়া ভাষায় সমালোচনা করছেন। ‘ক্ষ্যাত’ বলেও আখ্যায়িত করছেন অনেকে।
তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, অনন্ত জলিলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে টিজারটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ১৭ হাজার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। যার ১০ হাজারের বেশি ‘হা হা হা’ হাস্যকর প্রতিক্রিয়া।
হাবিব নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আলিফ লায়লা যুগের মতো ভিএফএক্স এখন কেউ খায় না! ভাই দেশে অনেক ট্যালেন্টেড ভিএফএক্স আর্টিস্ট আছে, আপনার এ গ্রেড মুভির জন্য এ রকম সি গ্রেড ভিএফএক্স মানায় না। শুধু শুধু এদের পেছনে টাকা না ঢেলে যারা ভালো ভিএফএক্স আর্টিস্ট ওদেরকে হায়ার করেন। এ রকম ভুগিচুগি জিনিসের জন্যই ভালো জিনিসের ওপর দাগ পড়ে।’
খালেদ মানসুর নামের একজন লিখেছেন, ‘১০০ কোটি টাকা খরচ করে এই গু বানাইছেন বস? রেলস্টেশনের সাইডে মোবাইল দোকানে বসে যেসব পিচ্চি- ওরাও আরো ভালো এডিট করে দেবে- ভিএফেক্স লাগবেও না। ইনফ্যাক্ট এই ট্রেলার দেখার পর আপনার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমার কাছে ভালো লাগা শুরু হয়েছে। টাকা-পয়সা ভালো পথে বিনিয়োগ করুন। এসব অখাদ্য পাবলিক খাবে না বস।’
আলমিরাজ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা কী রে ভাই? পাবজির গ্রাফিকস তো এর থেকে শতগুণে ভালো। আমি তো দেখে দুঃখী দ্য Sad হয়ে গেলাম।’
তানজিল রাফিন নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কেমন এনিমেশন রে ভাই। জেটপ্লেনের গ্রাফিকস ছিল মটু-পাতলুর মতো। আর গাড়িটা যে ফাটল, অইটাও প্রাচীন আমলের ভিএফএক্স। আর এই সিনেমা নাকি ১০০ কোটি দিয়া বানাইছে। এইটুকু বলব যে প্রযোজক পথে বসতে চলেছে।’
অবশ্য কেউ কেউ এটাকে বাণিজ্যিক কৌশল হিসেবেও ধরছেন, একজন লিখেছেন, ‘অনন্ত জলিল একজন জাত বিজনেসম্যান। উনি ভালো করেই জানেন, কেমন ট্রেইলার বানালে ভাইরাল করা সহজ। ভালো ভালো সিনেমার ট্রেইলারে ভিউ শেয়ার আসে না। ভিউ, শেয়ার আসে এসব সস্তা কাজে।’
দীপ্ত নামের একজন লিখেছেন, ‘হাসি দ্য স্মাইল’ আসছে এইটা দেখে, আপনারে এইগুলা ভুংভাং করে বানায় দে কে? প্লিস ওরে ‘লাত্থি দ্য কিক’ মেরে তাড়ান ??? এত এত ভালো কাজ করেন, এইগুলা করে হাসির পাত্র হয়ে আর কত দিন থাকবেন?
একজন লিখেছেন, ‘আপনি বড় ব্যবসায়ী হতে পারেন, কিন্তু মুভির নায়ক হিসেবে আপনি বরাবরই জিরো। এইটাকে মুভির ট্রেইলার বলে?এটা যদি ট্রেইলার হয়, তাহলে শুনে রাখেন পৃথিবীর ইতিহাসে এর চেয়ে বাজে ট্রেইলার আর হয় নাই। আপনার অনেক টাকা যেহেতু আছে, আপনি ভালো নায়ক আর ভালো কাহিনিনির্ভর ছবি বানান। আর আপনার বউয়ের অ্যাক্টিং ও জঘন্য। দয়া করে মুভির নামে এই … গুলা বানাবেন না।’
গতকাল প্রকাশিত এই টিজারে এ রকম শত শত নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে উঠছে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র গ্রুপগুলোতেও টিজারটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
সেরা টিভি/আকিব