ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা ভোটার আইডি কার্ডে ভুল তথ্য থাকায় পড়তে হয় নানা বিপাকে। উচ্চ শিক্ষা, বিদেশ গমন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমি কেনা বেচা সহ নানান কাজে এই এনআইডি দরকার হয়। এই কার্ডে তথ্যে গড়মিল হওয়ায় ধাপে ধাপে পড়তে হতে পারে বহুমুখী ঝামেলায়। তাই এখনই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে সংশোধন করে নিতে পারেন।
দুই পদ্ধতিতে সংশোধন করা যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের নিয়মাবলী বর্ণিত হয়েছে।
এনআইডিতে উল্লেখিত নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী কিংবা অভিভাবকের নাম, রক্তের গ্রুপ, ঠিকানা ইত্যাদি বিষয়াদিও পরিবর্তনের জন্য ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’ এর পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হবে।
তবে এই আবেদন আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে ৭ তলা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে করাটাই উত্তম হবে। আবেদনের সাথে মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, চাকরির প্রমাণপত্র, বাবা, মা, কিংবা অভিভাবকের এনআইডির ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই সব কাগজপত্র অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখিত কাগজপত্র কারো যদি না থাকে সেটা না দিলেও চলবে। আর এই জাতীয় পরিচয়পত্র যদি হারিয়ে যায় তাহলে এখতিয়ারভুক্ত থানায় গিয়ে ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। এরপর জিডির মূলকপি সহ আবেদনের সংযুক্ত করতে হবে।
আর অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করতে চাইলে এনআইডির পোর্টাল অন করার পর একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এই অ্যাকাউন্টে রকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারেন। প্রথম যেকোন তথ্য সংশোধনের জন্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয় বার ৩০০ টাকা এরপর প্রতিবারে ৪০০ টাকা ফি দিতে হবে। নতুন তথ্য সংযোজনের ক্ষেত্রে প্রথমবার ১০০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতিবার ৩০০ টাকা ফি গুনত হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৯ ধারায় বলা হয়েছে এনআইডি হারিয়ে গেলে বা অন্যকোনভাবে নষ্ট হয়ে গেলে নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে যেকোন নাগরিক নতুর এনআইডি পাওয়ার অধিকারী হবেন।
সেরা টিভি/আকিব