ডেস্ক রিপোর্ট:
বাঙালির জীবনে এল উদযাপনের আরেক মাহেন্দ্রক্ষণ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এর সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন অনন্য মাত্রা যোগ করেছে।
এক কথায় কাঙ্ক্ষিত দুই লগ্ন এসে মিশেছে এক বিন্দুতে। মঙ্গলবার রাত পেরুলেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শুরু হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা। যা ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে শেষ হবে। এই দুই উপলক্ষ উদযাপনে বর্ণাঢ্য সব আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানকে আরও রাঙাতে যোগ দেবেন প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। জাতীয় প্যারেন্ড গ্রাউন্ডে ১০ দিনের এই অনুষ্ঠানমালার প্রথম পাঁচ দিনের আয়োজনে তারা সশরীরে অংশ নেবেন।
বাকী পাঁচদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের কেউ থাকবেন না। তখন শিল্পীদের গান পরিবেশনায় মুখর থাকবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড। টেলিভিশন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার হবে এ অনুষ্ঠান।
এ দুই উৎসবকে ঘিরে গোটা রাজধানীকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে টানানো হয়েছে অগণিত ব্যানার-ফেস্টুন। আলোকসজ্জা আলোকিত বিভিন্ন ভবন।
১০ দিনের আয়োজনের প্রতিদিনই বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং তিনি বিভিন্ন সময়ে যে সমস্ত অবদান রেখেছেন সেগুলো যতটুকু সম্ভব তুলে ধরা হবে বলে জানান জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মেলবন্ধনে ‘অনন্য সময়’ পার করছে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেছিলেন, সোনার বাংলা গঠনের জন্য সেই স্বপ্নযাত্রার আরেকটি পর্যায়ের সঙ্গে মেলবন্ধন। এই মেলবন্ধন আমাদের শ্রদ্ধার, আমাদের ভালোবাসার মেলবন্ধন, আমাদের অগ্রগতির মেলবন্ধন। ১০ দিনের যে প্রোগ্রামটা সাজানো হয়েছে, সেখানে প্রতিদিনই বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, ও তার অবদানগুলো তুলে ধরা হবে। ’
সেরা টিভি/আকিব