স্টাফ রিপোর্টার:
সরিষা থেকে তৈরি করা হয় সরিষার তেল। এটি দেখতে গাঢ় হলুদ বর্ণের এবং স্বাদে ঝাঁঝালো। অতীতকাল থেকেই এই তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ওমেগা আলফা-৩ ও ওমেগা আলফা-৬ ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ হওয়ায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে বিবেচিত।
ওষুধি গুণাগুণে ভরপুর এই তেল প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অন্যদিকে ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। সরিষার তেলের গুণাগুণ নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন:
ত্বকের যত্নে সরিষা তেল:
ছত্রাক প্রতিরোধকারী উপাদান অ্যাললি আইসোথিয়া সায়ানেট গুণটি আছে সরিষার তেলে। ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হলে এই তেল তা প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূরীকরণে অসামান্য ভূমিকা পালন করে। সরিষার তেল, দই, বেসন ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ভাল ফলের জন্য মিশ্রণটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
উচ্চমাত্রার ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ সরিষার তেল বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করার পাশাপাশি ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। এজন্য সানস্ক্রিন লোশনের মতোই ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল। তবে খেয়াল রাখবেন যেন অতিরিক্ত তেল ত্বকে লেগে না থাকে।
ঠোঁটের যত্নে সরিষার তেল:
ঠোঁটের শুষ্কতা ও ফাটা ভাব দূর করতে চমৎকার প্রতিকার হিসেবে কাজ করে সরিষার তেল। ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে এক বা দুই ফোঁটা সরিষার তেল লাগালে ঠোঁটের শুষ্কতা ও ফাটা ভাব দূর হয়।
চুলের যত্নে সরিষার তেল:
ওয়েলিক এসিড ও লিনোলিক এসিডে পরিপূর্ণ সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করার পাশাপাশি চুল পড়া ও অকালে চুল পাকা রোধ করে। সরিষার তেলে থাকা ভিটামিন, খনিজ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড ও ম্যাগনেসয়িাম চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের চুল কাল করার ইচ্ছা তারা প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করতে পারেন।
উদ্দীপক হিসেবে সরিষা তেল:
রক্ত সংবহন, পরিপাক ও রেচনতন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে ভূমিকা পালন করে সরিষার তেল। খাওয়ার কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি শরীরে মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও শরীরের তাপমাত্রা কমে।
রোগের উপশমে সরিষার তেল:
মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ সরিষার তেল কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। এতে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে। সরিষার তেলে অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান থাকে যা ক্যান্সারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়াও ঠাণ্ডা, কাশি ও অ্যাজমা প্রতিরোধে এর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। শিশুদের জন্য এই তেল বেশ উপকারী।
সেরা টিভি/আকিব