অনলাইন ডেস্ক:
দেশের আলোচিত ঘটনা ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ে। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তারা। আগের স্বামীর অভিযোগের কারণে মিডিয়ার আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় নাসির-তামিমার বিয়ে, যা আইনি লড়াই পর্যন্ত এগিয়ে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানে আসেনি। নাসির-তামিমার বিয়ে নিয়ে কিছুদিন আলোচনায় না থাকলেও আবারও তামিমা তাম্মির একটি সাক্ষাৎকার নতুন করে আলোচনায় আসে।
সম্প্রতি দেশের একটি টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠানে বিয়ের তালাকের কাগজপত্র নিয়ে কথা বলেন তামিমা তাম্মি। যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে তামিমা তার আগের স্বামী রাকিবকে একজন সাইকো হিসেবে তুলে ধরেন এবং তাকে মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
তালাকনামা নিয়ে রাকিব (আগের স্বামী) যেসব প্রশ্ন তুলেছেন সেই কাগজগুলো মিথ্যা কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তামিমা বলেন, আমি জানি যে তার (রাকিব) শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক কম। উনার (রাকিব) ছোট মস্তিষ্ক থেকে হয়তো এটা বের করে এনেছে। আমি কি জানতাম ২০২১ সালে নাসিরের সঙ্গে আমার বিয়ে হবে? আর ২০১৬ সালের ওই তালাকনামার পেজ আমি খালি রাখব, ওখানে নাম বসানোর জন্য।
তিনি বলেন, রাকিব একজন সাইকো। কারণ সাইকোলজিক্যাল সমস্যা বলেই সে হাতের মধ্যে, গলায়, একেক জয়গায় বিশ্বাস করে তাবিজ পরে। আর আধ্যাত্মিক টাইপের কথাবার্তা বলে। আমি বলব, ওকে মেডিকেলে পাঠানো হোক। সে মেন্টালিভাবে একজন সাইকো।
তিনি বলেন, নাসির আমাকে বিয়ে করার আগেই তালাক নোটিশটা দেখেছে। তাকে তালাক দেয়ার সব পেপারস আছে। আমি বাসায় থেকে দেই আর যেখান থেকেই দেই উনাকে (রাকিব) আমি তালাক দিয়েছি কি না বলেও প্রশ্ন তুলেন তামিমা।
মেয়ে তুবার কথা তুলে ধরে তামিমা বলেন, আমি মা, আমার থেকে মনে হয় দুনিয়াতে আর কারো এত কষ্ট লাগার কথা নয়। তুবামনি রাকিবের জন্য একটা এটিএম কার্ড, কারণ যখন তার সঙ্গে আমার তালাক হয়ে গেছে, তখন রাকিব আমার কাছ থেকে কোনো রকম ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাকআপ পাচ্ছিল না। আমার বাচ্চা তার কাছে থাকা মানে আমার সবকিছু তার কাছে থাকা, মানে আমি তার হাতের মুঠোই।
উল্লেখ্য, গত মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমাকে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। বিয়েকে স্মরণীয় করতে ভালোবাসা দিবসটিকেই বেছে নেন তিনি। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ পার না হতেই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি নাসিরের স্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসে। সকাল থেকে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তামিমার আরেক স্বামী ও সন্তানের ছবি। রাকিব নামে ওই স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১১ বছর আগে। সেই ঘরে কন্যাসন্তানের বয়স এখন নয় বছর।
নাসিরের সঙ্গে বিয়ের ভিডিও ও খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করেন রাকিব। এ কথা নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস।
জিডিতে রাকিব উল্লেখ করেন, তামিমার সঙ্গে এখনো তার ডিভোর্স হয়নি। ডিভোর্স ছাড়া স্ত্রী কীভাবে অন্যের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন সেই প্রশ্ন তার। এ জন্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন তিনি।
পরে জিডির কপি ও তাদের বিয়ের কাবিননামাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জিডিতে রাকিব অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে সংসার করা অবস্থায় তামিমা গোপনে আরেকজনকে বিয়ে করেন। সেখানে ছয় মাস সংসারও করেন।
জিডি সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা ছয় মাস যে ছেলের সঙ্গে সংসার করেছেন ওই ছেলের নাম অলক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এই ছেলের বিষয়েই নাসির ও রাকিবের মধ্যে কথোপকথনও শোনা যায়।
এদিকে রাকিব ও নাসিরের ফোন রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে রাকিবকে ফোন করে জিডি করার ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে বলেন নাসির।
কথোপকথনে রাকিবের প্রশ্ন ছিল, আপনি কি তামিমা সম্পর্ক সবকিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন, তার সবকিছু জেনেশুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে, তার আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল সবকিছুই আমি জানি। আপনার বউ আপনার সঙ্গে ভালো থাকলে নিশ্চয়ই আপনার ১১ বছরের সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসত না।
রাকিব হাসান ও তামিমার কাবিননামায় দেখা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। রাকিবের দাবি, গত ১১ বছরে তার স্ত্রীর পড়াশোনা থেকে শুরু করে জব, সবক্ষেত্রেই তিনি সাহায্য করেছেন।
সেরা টিভি/আকিব