অনলাইন ডেস্ক:
গত মাসে মারওয়া এলসেলেহডার অদ্ভুত একটি বিষয় লক্ষ্য করলেন। এভার গিভেন নামের একটি দৈত্যাকৃতির কন্টেইনার জাহাজ সুয়েজ খালে আটকা পড়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বের সবথেকে ব্যস্ত নৌপরিবহণ রুট। কিন্তু মারওয়া দেখলেন, এই ঘটনার জন্য অনলাইনে তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তিনি মিশরের প্রথম নারী শিপ ক্যাপ্টেন।
ঘটনার সময় তিনি আইডা ফোর নামের একটি জাহাজে ছিলেন। এটি ছিল আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে শত শত মাইল দূরে। ছড়িয়ে পড়া ভুয়া স্ক্রিনশটে দেখা যায়, সুয়েজ খালের ঘটনায় মারওয়া যুক্ত ছিলেন এমন খবর প্রথম প্রকাশ করে আরব নিউজ। কিন্তু ২৯ বছর বয়সী মারওয়া কোনোভাবেই বুঝতে পারছিলেন না কেনো সবাই এমনটা করছে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে- আমি নারী হয়েও সফল হওয়ায় আমাকে টার্গেট করা হয়েছে।
এটিই প্রথম নয় তাকে এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। তিনি যে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন তাতে বিশ্বজুড়ে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ২ শতাংশ। ২০১৭ সালের নারী দিবসে তাকে সম্মাননা দিয়েছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি। তবে তার জন্য মিশরের রক্ষণশীল পরিবেশে এতোদূর আসা সহজ ছিল না। যখন সুয়েজ খাল আটকে দেয়ার জন্য তাকে দোষারোপ শুরু হলো তিনি আশঙ্কা করলেন যে, এর প্রভাব পড়তে চলেছে তার ক্যারিয়ারের ওপর। মারওয়া বলেন, এই ভুয়া খবরটা যেহেতু ইংরেজিতে ছিল তাই এটি অন্য রাষ্ট্রগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে খবরের নিচে খুবই নোংরা মন্তব্য করত শুরু করে মিশরীয়রা। অনেকেই আবার মারওয়াকে সমর্থনও দেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, তিনি এখন শুধু ইতিবাচক মন্তব্য ও মানুষের সমর্থনটুকু নিয়েই ভাবতে চান।
সামনের মাসে পূর্ণ র্যাংকের ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য পরীক্ষায় অংশ নেবেন মারওয়া। তিনি আশা করছেন, তিনি আজীবন নারীর জন্য রোল মডেল হয়ে থাকতে পারবেন। মারওয়া বিশ্বাস করেন, নারীদের মানুষের নেতিবাচক মন্তব্যের ভিত্তিতে প্রভাবিত হওয়া চলবে না এবং তাদের তাই করা যা তিনি করতে ভালোবাসেন।
সেরা টিভি/আকিব