স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে শপিংমল, দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। পরে ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। এর আগে ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞায় সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়।
এদিকে পহেলা বৈশাখ ও রোজার আগে দোকানপাট খুলতে কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন দোকান মালিক ও কর্মচারীর। দাবির মুখে বৃহস্পতিবার ‘কঠোর স্বাস্থ্যবিধি’ প্রতিপালন সাপেক্ষে লকডাউনের মধ্যেও দোকানপাট ও শপিংমলও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে।
এদিকে সর্বশেষ শনিবার বিকালে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা একদিনে সর্বোচ্চ। এই সময়ে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ জন।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় এবং জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দিতে যাচ্ছে সরকার।
বর্তমানে সারা দেশে চলা ‘লকডাউন’-এর সময়সীমা শেষ হচ্ছে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ হতে যাচ্ছে। কিন্তু মাঝখানে দুইদিন অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল ‘লকডাউন’ কিংবা কোনো বিধিনিষেধ থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি সরকার থেকে।
এই দুইদিন কঠোর বিধিনিষেধ না থাকলে বড় ধরনের ঝুঁকির আশংকা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মানুষ এই দুই দিন সুযোগ পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে শুরু করবে। আবার লকডাউনের আতঙ্কে কেনাকাটা করতে বাজারে ভিড় করবেন। এটি হতে দেওয়া যাবে না। এই দুই দিন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি।
সেরা টিভি/আকিব