অনলাইন ডেস্ক:
খোলাবাজারে আগামী ১লা মে থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা বিক্রি অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। তবে কোনো কেমিস্টস অথবা ফার্মাসিতে বিক্রির জন্য পাওয়া যাবে না টিকা। শুধু হাসপাতাল এবং অনুমোদিত টিকাদান কেন্দ্র এসব টিকা দিতে পারবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমিউনাজেশন (এইএফআই) নামের এই ইভেন্টে থাকবে কো-উইনে এবং পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত।
এইএফআইয়ের জন্য শনাক্ত, অনুসন্ধান ও ব্যবস্থাপনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার কথা বলা হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে এটি করা হবে। এই পরিষদের কাজ হবে, করোনার লক্ষণগুলো সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা। সেটি পর্যবেক্ষণ করে টিকাদানের পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা করা। এদিকে, ভারতীয় একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, জরুরি লাইসেন্সের অধীনে করোনার টিকা বিক্রির অনুমোদন দেয়া হবে। এটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কেমিস্ট বা ফার্মেসিতে দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এটি পেতে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ চুক্তি করলেও দেশটির টিকা রপ্তানি বন্ধ হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ধর বিবিসিকে বলেন, দেশের চাহিদা মেটানোই এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে টিকা দিতে হলে ‘টিকা কূটনীতি’ বন্ধ করতে হবে মোদি সরকারকে।
সেরা টিভি/আকিব