স্টাফ রিপোর্টার:
পথে পথে যানবাহন। কোথাও কোথাও যানজট। পথে-ফুটপাথে বিপুল মানুষ। রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। গণপরিবহন না চললেও বাধাহীনভাবে ছুটে যাচ্ছে প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা। অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল পুলিশের ভূমিকা ছিল দায়সারা। বিপুল মানুষ ও যানবাহন চলাচল করলেও তল্লাশি বা কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়নি তাদের। সম্প্রতি সরকার ঘোষিত প্রথম দফা লকাউনের শেষদিন ছিল গতকাল।
এইদিনে রাজধানীজুড়ে দেখা গেছে এই দৃশ্য। যেনো দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়ছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। সরজমিন রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান, কাওরানবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন চলাচল না করলেও সড়কজুড়ে বিপুল যানবাহন। দুপুরে রামপুরা, কাকরাইল ও পল্টন এলাকায় যানজট সৃষ্টি হতেও দেখা গেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন সংলগ্ন রামপুরা এলাকায় চেকপোস্টে দুপুরে বিপুল পুলিশ সদস্যকে বসে ও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু যানবাহন, যাত্রী বা পথচারীদের কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়নি তাদের। অন্যান্য দিনের চেয়ে সড়কে রিকশার সংখ্যাও ছিল বেশি। মোড়ে মোড়ে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাইড শেয়ারকারীরা। রামপুরা থেকে হাজীপাড়া পর্যন্ত দুপুরে যানজট ছিল বেশকিছু সময়।
গতকাল ছিল প্রথম দফা সর্বাত্মক লকডাউনের শেষদিন। এরমধ্যেই সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস জনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট চলাচল, ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ পূর্বের সকল বিধি-নিষেধ আরোপের সময়সীমা ২১শে এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮শে এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হল। এর আগে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন্থ শুরু হয় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকরের কথা বলা হয়েছিল। তার আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত ৫ই এপ্রিল থেকে সারা দেশে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। নির্দেশনা অনুসারে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া রাস্তাঘাটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও নির্দেশনা ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ই এপ্রিল থেকে সকাল সন্ধ্যা গণপরিবহন চলবে। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর নিষেধাজ্ঞা ১১ই এপ্রিল শেষ হলেও এর মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ ও ১৩ই এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে ১৪ই এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
সেরা টিভি/আকিব