স্টাফ রিপোর্টার:
কঠোর লকডাউন চলাকালীন ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হয় গত ২৫ এপ্রিল থেকে।সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল কিংবা দোকানপাটে যাতায়াত করতে হবে।কিন্তু কিছুই মানছেন না বিক্রেতা ও ক্রেতারা।অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্যবিধি না মানার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের দিকে তেড়ে আসছেন মার্কেটের লোকজন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের সব শপিংমল, মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ক্রেতাদের মার্কেট ও বিপণিবিতানে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের জন্য পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে প্রখর রোদ ও করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে রাজধানীসহ দেশের মার্কেটগুলোতে।মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই।
শুধু মার্কেটই নয়, ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজও রাজধানীর সব সড়কে মানুষের ভিড়।ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকসায় যানজট লেগে যাচ্ছে প্রতিটি সড়ক।বিশেষ করে নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি ও গাউছিয়া মার্কেট এলাকাগুলো মানুষের প্রচণ্ড ভিড়।
শনিবার (১ মে) রাজধানীর গাউছিয়া সুপার মার্কেট, চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্স, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, নূর ম্যানশন, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটজুড়েই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
ঈদের শপিং করতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি।রয়েছে ছোট্ট শিশু-কিশোররাও।এতে ওইসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি। কারণ করোনার কারণে এতদিন বিক্রি কম হলেও এখন বেড়েছে। ধম ফেলার সময় পাচ্ছেন না তারা। দীর্ঘদিন ব্যবসার মন্দা থাকার পর ক্রেতাদের এমন উপস্থিতি এবারের ঈদে রেকর্ডসংখ্যক বিক্রি হবে বলে আশা করছেন এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
সেরা টিভি/আকিব