স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চলমান বিধিনিষেধ চতুর্থ দফায় ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর, ৬ মে থেকে জেলা ও নগরের মধ্যে গণপরিবহণ চালু হচ্ছে। তবে চলবে না লঞ্চ ও ট্রেন।
প্রথম ঢেউয়ের পর এপ্রিল থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ আবারো তীব্র হতে শুরু করে। প্রকোপ সামলাতে কঠোর বিধিনিষেধের পরামর্শ দেয় কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ১৪ এপ্রিল থেকে আটদিনের জন্য কার্যকর হয় কঠোর বিধিনিষেধ। দুই দফায় মেয়াদ বাড়ে ৫ মে পর্যন্ত। সোমবার (৩ মে) জানা গেলো বিধি নিষেধের সময় বাড়ছে ১৬ই মে পর্যন্ত। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, ৬ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। অর্থাৎ ঢাকার বাস ঢাকায় আর গাজীপুরের বাস গাজীপুরে, এভাবেই চলাচল করতে হবে। অন্য জেলায় যেতে পারবে না। লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধই থাকবে। এ সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এর আগে, চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই ২৫ এপ্রিল থেকেই খুলে যায় দোকানপাট, শপিংমল। তবে শর্ত ছিলো মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যনিধি অনুসরণ না করলে মার্কেট বা শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত অমান্য করলে জরিমানা করা হবে।
এর আগে, সোমবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, জেলার ভেতরে গণপরিবহণ চলতে পারে। কিন্তু জেলা থেকে জেলায় গণপরিবহণ চলার মতো পরিবেশ ও পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।
আর একইদিন সকালে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, আগামী ৬ মে থেকে সরকার শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহণ চালুর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে। জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং কোনভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহণ সিটির বাইরে যেতে পারবে না। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোন গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহণগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, পরিবহণ শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।
সেরা টিভি/আকিব