স্টাফ রিপোর্টার:
খুব ভোর থেকেই ঘরমুখো যাত্রীভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। কিন্তু সামনে প্রমত্ত পদ্মাপাড়ির কোন ব্যবস্থা নেই, নাই কোন লঞ্চ, সিবোট বা ট্রলার কিংবা ফেরি। শিমুলিয়াঘাটের কোথাও তীলধারনের ঠাই নেই, শুধু যাত্রী আর যাত্রী। যাত্রীদের চাপ দেখলে বোঝার উপায় নাই যে তাদের মধ্যে কোন মহামারির শঙ্কা রয়েছে।
নদীতীরে নেই কোন ফেরি, সব ফেরি মাঝপদ্মায় নোঙর করা। তবে ফেরি কুঞ্জলতা তীরে ভেড়ানো থাকায় যাত্রীরা স্লোগান দিয়ে উঠতে থাকে তাতে। এক পর্যায়ে ফেরিটি কানা কানায় পূর্ণ হলে যাত্রীদের মাঝে ফেরিতে উঠার প্রতিযোগিতা শুরু হয় ফেরির ছাদে, ডালায়। সর্বত্র যাত্রী আর যাত্রী। ফেরি কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের চাপের মুখে চরম দুর্ভোগ বিবেচনায় এনে মানবিক কারনে তা ছাড়তে বাধ্য হয়।
শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণার পরও এদিন ভোর থেকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় করতে থাকে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ। ফেরি কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই ফেরি না ছাড়লে এক পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হয় এবং পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখ থেকে তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়।
সেরা টিভি/আকিব