অনলাইন ডেস্ক:
রাশিয়ার টিকা স্পুতনিক-ভির একটি ডোজই করোনা রুখতে কার্যকর। তাই এই টিকা এক ডোজ করে প্রয়োগ করার অনুমোদন দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পুতনিক লাইট’। তবে স্পুতনিকের দুটি ডোজ এবং একটি ডোজের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য থাকবে বলে রাশিয়া জানিয়েছে। খবর সিএনবিসির
টিকাটির তদারককারী সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্পুতনিক-ভি টিকার দুটি ডোজ নিলে তার কার্যকারিতা হবে ৯১.৬ শতাংশ। তবে একমাত্র ডোজের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা কিছুটা কমে হবে ৭৯.৪ শতাংশ। রাশিয়ার তৈরি ওই টিকাটি ৬০টি দেশে অনুমোদিত। তবে ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন টিকাটির অনুমোদন দেয়নি। এটিকে উঁচু মানের টিকা বলে মনে করছেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরাও।
আরডিআইএফের বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর ৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলা পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই স্পুতনিকের একটি ডোজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গোটা বিশ্বে প্রায় দুই কোটি মানুষ স্পুতনিকের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। স্পুতনিক-ভি টিকাটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ঘানাসহ বিভিন্ন দেশের সাত হাজার মানুষ। বাংলাদেশও এ টিকাটি আমদানির চেষ্টা করছে।
কভিড-১৯ টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে জার্মানি। বার্লিন বলেছে, মেধাস্বত্ব টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা নয়।
জার্মান সরকার বলছে, মেধাস্বত্বের সংরক্ষণ নতুন কিছু সৃষ্টির একটি উৎস এবং এমনটাই থাকা উচিত। জার্মানির এ অবস্থানের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছিল, তারা কভিড টিকার মেধাস্বত্ব উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় রাজি। ইইউর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানির কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি কভিড-১৯ টিকা বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত।
মেধাস্বত্ব উন্মুক্ত হলে টিকার উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়বে এবং দরিদ্র দেশগুলোকে সুলভ মূল্যে জীবন রক্ষাকারী প্রতিষেধকটি সরবরাহ করা যাবে বলে দাবি সমর্থকদের।
সেরা টিভি/আকিব