স্পোর্টস ডেস্ক:
ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। রমজানের শেষ এই মুহূর্তটা পরিবারের জন্য কেনাকাটা ও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার প্রস্তুতি চলে খুব। জাতীয় দলের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের জন্যও এসব ব্যতিক্রম নয়।
যদিও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনা মহামারিতে বিপন্ন গোটা বিশ্ব। করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারও কড়াকড়ি স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করেছে। আর ভিন্ন পরিস্থিতিতে পড়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এমনকি ঈদের দিনটাতেও তাকে কাটাতে হবে একটি রুমে বন্দি হয়ে। চাইলেই দেখা করতে পারবেন না পরিবারের সঙ্গে।
শুধু ফিজই নয়, তার স্ত্রীরও একই অবস্থা।
দু’জনের এবারের ঈদ কাটতে যাচ্ছে পরিবার-পরিজন থেকে অনেক দূরে থেকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিল) স্থগিত হওয়ায় ভারত থেকে দেশে ফিরে এসেছেন দুই ক্রিকেট তারকা মোস্তাফিজুর রহামন ও সাকিব আল হাসান । কিন্তু সরকারের নিয়ম অনুসারে ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। যে কারণে ৬ই মে থেকে মোস্তাফিজ স্বস্ত্রীক কোয়ারেন্টিনে আছেন হোটেল সোনারগাঁয়ে। তবে ঈদের পরই ২৩শে মে থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। ২১ তারিখের আগে ফিজের মাঠে নামার সুযোগ নেই। কিন্তু এভাবে ঘরবন্দি থাকলে ফিটনেস ধরে রাখাও কঠিন হবে। তাই সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে সুযোগ থাকলে মুক্তির অনুরোধ জানিয়েছেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজ বলেন, ‘ভারতে প্রায় পাঁচদিনের মতো হোটেলে বন্দি ছিলাম। এখানে এসেও বন্দি। ১০ দিন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে ফিটনেস ধরে রাখা বেশ কঠিন হবে। এরইমধ্যে আমরা করোনা টেস্ট করিয়েছি দুটি। ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। যদি সরকার আমাদের কোয়ারেন্টিন কমানোর কথা বিবেচনা করে তাহলে অনেক ভালো হতো আমাদের জন্য।’
সেরা টিভি/আকিব