লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস করোনা সংক্রমণের মধ্যে আরো একটি নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে। তবে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক থেকে সাধারণত সুস্থ মানুষদের সেই ভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধুমাত্র যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছেন ভাইরোলজিস্ট শতদল দাস।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে বাচঁতে যা যা করবেন-
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
পুঁজ বেরনোর পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মাপা। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও তাই।
সঠিক পরিমাণে এবং ঠিক সময় স্টেরয়েড নেওয়া।
অক্সিজেন থেরাপির সময় পরিষ্কার, স্টেরিলাইজ করা জল ব্যবহার করা (হিউমিডিফায়ারে)।
প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওযুধ খাওয়া।
কী করবেন না?
লক্ষণগুলি খেয়াল রাখা, অবহেলা না করা।
নাকে কালচে দাগ দেখলেই আতঙ্কিত না হওয়া, বিশেষ করে যে কোভিড রোগীদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম।
ফাঙ্গাসের উপস্থিতি বুঝতে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করতে ভয় না পাওয়া (কেওএইচ স্ট্রেনিং, মাইক্রোস্কোপি, কালচার ইত্যাদি)।
চিকিৎসা শুরু করতে দেরি না করা।
সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগ বা মিউকোরোমাইকোসিস করোনা আক্রান্তদের মধ্যে প্রবল ভাবে ছড়াচ্ছে। দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং বেঙ্গালুরুতে বেশ কিছু করোনা রোগীদের শরীরে এই রোগের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন অবহেলা করলে তা মারণ রূপ ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন শতদল দাস। তিনি বলেন, “ত্বকের সমস্যা হয়ে শুরু হলেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে ফুসফুস এবং মস্তিষ্ক পর্যন্ত।”
নির্দেশিকা অনুযায়ী করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, অনেকেরই সেই কারণে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যাচ্ছে । তাই অন্য নানা রোগ সহজেই আক্রমণ করতে পারছে করোনা আক্রন্তদের। আইসিএমআর’ জানিয়েছে কোন লক্ষণগুলি প্রকাশ পেলে সতর্ক হতে হবে।
সেরা টিভি/আকিব