স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা মহামারি সংক্রমণ না কমায় ঈদের পর দূরপাল্লার বাস ছাড়ার অনুমোদন দেয়নি সরকার। আগামী ১৭ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ‘লকডাউন’ শেষে পরিস্থিতি দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না কমা এবং ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে চলমান বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণের কারণে কয়েক দফা বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউন’ বাড়ানোর পর সব শেষ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না কমা এবং ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ থেকে ২৩ মে আরো এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেন।
আগামী এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’ শেষে করোনা পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে দূরপাল্লার বাস চলার বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করবে বলে জানিয়েছেন ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, এখনই দূরপাল্লার বাস চলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আগের শর্তে আগামী এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’ চলবে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একজন জানান, পরিবহন শ্রমিকদের নেতা সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ‘লকডাউনে’ বেকার হয়ে পড়া পরিবহন শ্রমিকদের কথা ভেবে ঈদের পর দূরপাল্লার বাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে আসছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী তাতে সাড়া দেননি।
আগামী এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’ শেষে করোনা পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে দূরপাল্লার বাস চলার বিষয়ে সরকার চিন্তা-ভাবনা করবে বলে জানিয়েছেন ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, এখনই দূরপাল্লার বাস চলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আগের শর্তে আগামী এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’ চলবে। ঈদে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ থাকায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক-পিকআপভ্যান এবং ফেরিতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরেছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে শাহজাহান খান দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সেরা টিভি/আকিব