সেরা এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:সংগীতাঙ্গনের বহুল চর্চিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। ভারতের জি-বাংলার রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা ২০১৯’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীত ভুবনে পা রাখেন। এই শোয়ে অন্যের গাওয়া গান কাভার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেন। কিন্তু সংগীত ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিতর্কে জড়ান নোবেল। শুরুতে তার ভক্তরা নোবেলের পক্ষে দাঁড়ালেও সময়ের সঙ্গে তারাও সরে যান।
বিতর্কে জড়ানোর ঘটনা নোবেলের নতুন নয়। আবার কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতেও ভুল করেন না ২৪ বছর বয়েসী এই কণ্ঠশিল্পী। তার বিতর্ক ও ক্ষমা চাওয়ার তালিকা সময়ের সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। এ নিয়ে দারুণ বিরক্ত নেটিজেনরা। তাদের ভাষায়—‘ক্ষমা চাওয়ার নাটক দেখতে দেখতে বিরক্ত।’ চলুন জেনে নিই, নোবেলের বিতর্ক ও ক্ষমা চাওয়ার তালিকা। আজ আবার এক ফেসবুকে পোস্টে তিনি আবারও ক্ষমা চান। সেরা টিভির পাঠকদের জন্য পুরো স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল।
‘আমি মাঈনুল আহসান নোবেল! আমি আপনাদের নোবেল! আজ আমি নোবেল হতে পেরেছি আপনাদের ভালবাসা, সমর্থন ও দোয়ায়। দুই বাংলার অসংখ্য বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য গান গাইতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি আমার দেশ বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বাংলা গানের ভক্তদের জন্য মৌলিক গান নিয়ে ফিরে আসতে চাই আপনাদের মাঝে।
আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আমার পেজে সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস দেই বা কথা বলি। মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি অনেক সময় ফেসবুকসহ আমাদের মিথষ্ক্রিয়ার (Interaction) বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আমার অনেক পোস্ট এই বিচ্যুতির ফল। আমি বিশ্বাস করি আমার পোস্ট অনেককেই ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সমষ্টিগত ভাবে সম্মানিত নেটিজেনদের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিখ্যাত লেজেন্ড শ্রদ্ধেয় জেমস ভাই, শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় তাপস ভাই, প্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবু ভাই, সুপ্রিয় সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ন ভাই, সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছির ভাইসহ সকল সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে ক্ষমা চাই ও আমার পোস্টের মাধ্যম যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে দুঃক্ষ প্রকাশ করি। আমি এই মুহূর্তে আমার মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি নিয়ে কন্সার্নড। আমার পরিবারের সমর্থনে আমি চিকিৎসা গ্রহন করছি ও আল্লাহর রহমতে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে নতুন গান নিয়ে ফিরে আসবো।
আমি যেহেতু বাংলাদেশের সাইবার আইন ও পুলিশের সাইবার ইউনিটের কার্যক্রম বিষয়ে সচেতন, আমি সচেতনভাবে দেশের আইন বা নৈতিকতার বাইরে কিছু করতে চাই না বা আর করবো না, তারপরও আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মের জন্য যে কোন আইনি ব্যবস্হা নেয়া হলে তা মাথা পেতে নেব। আমিও আশা করবো আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।
ভাল থাকুক নোবেল, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সাইবার স্পেস, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সংস্কৃতি।
ভাল থাকুন আপনারা সবাই। আল্লাহ সহায়!!”
সেরা টিভি/আকিব