বুধবার (১৯ মে) বিকেলে, ভৈরব থেকে মামলার এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, আওয়াল হত্যার পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা। সম্পত্তি দখল করতে বাধা দেয়ায় আওয়াল তার বাহিনীর লোকজন দিয়ে শাহীনকে হত্যা করিয়েছে।
পরিবারের দাবি, পল্লবীর বুড়ির টেকের বাপ-দাদার এই জমি রক্ষা করতে গিয়েই প্রাণ দিতে হয়েছে শাহীনকে। এর আগেও কয়েকবার তাকে হত্যার জন্য তার ওপর হামলা করা হয়েছে। গত ১৬ তারিখে তারা তাকে দাওয়াত দিয়ে গ্রুপ করে একটা গ্যারেজ আসে সেখানে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। শাহীনকে হত্যার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঘোষণা দিয়েছিলো আওয়াল।
এদিকে, শাহীন উদ্দিন হত্যা মামলায় আরো দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: মোঃ সুমন বেপারী ও মোঃ রকি তালুকদার। বুধবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্লবী ও রায়েরবাগ এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।
ডিবি জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান করে হত্যার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বদানকারী সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমনের দেয়া তথ্যমতে পল্লবী থানার স্কুল ক্যাম্প কালাপানি এলাকা হতে অপর অভিযুক্ত রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি দাওয়াত দিয়ে ডেকে পল্লবির ডি ব্লকের ৩২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়ির সামনে শাহীনের ওপর নির্মম হামলা চালায় কয়েকজন। চাপাতি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত পা শরীর মাথায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পরে পালিয়ে যায় খুনিরা। এ ঘটনার পর মোঃ আওয়ালকে প্রধান আসামি করে নামে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
সেরা টিভি/আকিব