লাইফস্টাইল ডেস্ক:
জীবনে চলার পথে এমন কাউকে সঙ্গী হিসেবে প্রয়োজন যে শুধু আপনাকে ভালোবাসবে। যার স্বপ্ন-বাস্তবতায় শুধুই আপনি থাকবেন। দিনজুড়ে মান-অভিমান যাই থাকবে ক্ষণে ক্ষণে দু’জনের মধ্যে থাকবে প্রেম-ভালোবাসা আর একসঙ্গে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা। যদি এমনটা না হয় তাহলে সেই পথ চলা কিংবা সংসার জীবনে কোনো দিন সুখী হতে পারবেন না।
বিপরীত মানুষটি কিন্তু এমনিই আপনার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে না। অবশ্যই এর পেছনে কারণ রয়েছে। হ্যা, ঠিক ধরেছেন। সঙ্গীটি হয় তো আপনার সঙ্গে আর একসঙ্গে থাকতে চাইছে না। এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক- যে লক্ষণগুলো দেখে বুঝে নেয়া যাবে সঙ্গী একসঙ্গে থাকতে চাইছে না।
মনোযোগ নেই : সঙ্গিনীর মনোযোগ অন্যদিকে। আপনাকে ছেড়ে অন্য কাউকে খুঁজছে হয়তো। যদি সঙ্গীর মধ্যে এরকম কোনো লক্ষণ দেখেন তবে এটা স্পষ্ট যে, সঙ্গিনী এখন আর আপনার সঙ্গে থাকতে চাইছে না। তাই সে অন্য কাউকে সঙ্গী হিসেবে খুঁজছে।
সঙ্গীর মধ্যে যদি উপরের কোনো লক্ষণগুলো দেখতে পান তবে আপনাকে বুঝে নিতে হবে সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। এই সম্পর্ক কোনোভাবেই এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। কেননা, একা কখনো দুটি মন নিয়ে আজীবন পথ চলা যায় না। এ জন্য দুটি মানুষের ইচ্ছা থাকতে হয়, হতে হয় দু’জনের দু’জনার।
বিপরীত মানুষটির অনুরাগ নেই : একটি ভালো সম্পর্কে অবশ্যই একে অপরের প্রতি অনুরাগবোধ করবে। দু’জনের দু’জনার প্রতি অনুভূতি থাকবে ও তা সময় অসময়ে প্রকাশ পাবে। কিন্তু সঙ্গীর মধ্যে যখন অনুরাগ কিংবা অনুভূতি দেখবেন না তখন বুঝে নিতে হবে সে আর আপনার সঙ্গে থাকতে চাইছে না।
এড়িয়ে চলা : সঙ্গী আগের মতো আপনার কাঁধে কাঁধ রাখে না, হাতে হাত রাখে না। সাংসারিক জীবনে বাসায় ফেরার পর আপনার সম্পর্কে বেশি জানতেও চায় না। সারা দিন কি করছেন, কোথায় থাকছেন, কি খাচ্ছেন এসবের কিছুই জানতে চাচ্ছে না। আপনি রাগ করলেও সে কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এমনকি আপনার আবেগ বুঝার ক্ষেত্রেও। এসবের অর্থ সে আপনার প্রতি খেয়াল রাখছে না এবং এড়িয়ে চলছে।
অকারণেই ঝগড়া : কোনো কারণ ছাড়াই সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া লাগছে। ছোট ছোট তর্ক-বিতর্ক থেকে বড় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আপনি সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা চালালেও বিপরীত মানুষটি আপনার ভুল নিয়ে ব্যস্ত। এভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
সময় কমিয়ে দেয়া : খেয়াল করলে হয়তো বুঝতে পারবেন এখন আর সঙ্গী ঠিক আগের মতো বেশি সময় দিচ্ছে না। কারণে-অকারণে সে সময় কমিয়ে দিচ্ছে। কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই কিংবা অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে দেখা করতে চাইবে না। আবার সাংসারিক ক্ষেত্রে হলে সে তার মতো একা একা সময় কাটাবে। বুঝে নিতে হবে মানুষটি এখন আর আমার সঙ্গে থাকতে চাইছে না।
সেরা টিভি/আকিব