স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে তার দুইবার জ্বর এসেছে। যার তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির নিচে হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। এখনো কেবিনে নেয়ার মতো অবস্থা না হওয়ায় সিসিইউতে রেখেই তার চিকিৎসা চলছে।
চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল, তা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে পর্যালোচনা বৈঠকে বসে মেডিকেল বোর্ড। বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গোসল করেন তিনি। এরপর শীত শীত অনুভূত হওয়ার কথা জানান। পরে চিকিৎসকরা দেখেন তার শরীরের তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তা ১০০ ডিগ্রির নিচে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এবং রাতে দুই দফায় তার এই সামান্য জ্বর আসে। যা সর্বোচ্চ ৯৯.৬ ডিগ্রি ছিলে। তবে স্বাভাবিক ওষুধ হিসেবে তাকে প্যারাসিটেমল দেয়া হয়। তাতে জ্বর ছেড়ে যায়।
চিকিৎস জানান, বেগম খালেদা জিয়ার ফিজিওফেরাপির অংশ হিসেবে তাকে প্রতিদিন রুটিন করে হাঁটানো হচ্ছে। এখন তিনি অনেকটা একা একা বসতে পারেন।
তার অন্যান্য রোগ সম্পর্কে ওই চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার অনেক পুরানো রোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে সেসবের সুচিকিৎসা হয়নি। এ কারণে তার বেশ জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখন সেসব নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে তার ডায়াবেটিক এখনো উঠানামা করছে। নিয়মিত ইনস্যুলিন দেয়া হচ্ছে। এরপরও খাবারের পর তার ডায়াবেটিক মাত্রা ১০ পর্যন্ত উঠে। তার রক্তের হিমোগ্লোবিন কম। যার মাত্রা ৯.২। কোবিড পরবর্তী জটিলতায় হার্টে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তারও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি। তার হার্টবিট বাড়তি রয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, তার ভালো ঘুম হচ্ছে। এখন একটু সুস্থ বোধ করায় কথাও বলছেন। তার শরীরের অবস্থা বুঝে এখন পরিমাণমতো স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। কিডনির জটিলতা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তার শারীরিক যে অবস্থা তাতে এখনো তাকে কেবিনে নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফলে তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানান মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
সেরা টিভি/আকিব