রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: টিকটক-লাইকি তারকা হিসেবে পরিচিত তানিশা ও তিশা। আর তাদের সহযোগীরা হলেন মেহেদী ও রাব্বি। এদের মধ্যে তানিশার বাড়ি নগরের মতিহার থানার খোঁজাপুর, পায়েলের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার নারায়নপুর এবং মেহেদীর বাড়ি পবার কানপাড়া ও রাবির নগরের চন্দ্রিমা থানার মুশরাইল।
নগরীর পদ্মা গার্ডেন, জিয়া পার্ক, বিমান চত্তর, টি-বাঁধ ও আই বাঁধ এলাকায় তারা টিকটক-লাইকি মিউজিক ভিডিও তৈরি করে থাকে। সোমবার (৭ জুন) দুপুরে মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী জানান, টিকটক-লাইকি গ্রুপের হয়ে পায়েল ও তানিশা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মিউজিক ভিডিও করার জন্য তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করে। তাদের ফাঁদে পড়া একজন ভিকটিমকেও ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত পায়েল ও তানিশার কাছ থেকে টিকটক-লাইকি গ্রুপের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ গ্রুপে জড়িত অনেকের নামও পাওয়া গেছে। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাইকি গ্রুপের ভিডিও তৈরির মূল হোতা গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেহেদী হাসান পুলিশকে জানিয়েছে, লাইকি ভিডিও তৈরি করে প্রতি মাসে আট থেকে দশ হাজার টাকা আয় করে। অভাবী কিশোর-কিশোরীদের দিয়ে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করতো তারা। রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে নৈতিকভাবে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে। অশ্লীল ও আপত্তিকর টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ ভিডিও সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও যুবক সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়াসহ মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত হচ্ছে। এ ধরনের ভিডিও কিশোর অপরাধের মতো ঘটনা উস্কে দিচ্ছে।
সেরা টিভি/আকিব