স্টাফ রিপোর্টার:
অনেক বছর ধরেই, বসবাসের অযোগ্য শহর হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান প্রথম সারিতে থাকছে।
বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট -ইআইইউ। এই তালিকার নিচের দিক থেকে চার নম্বরে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা।
ঢাকা!! প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাসের শহর আসলেই কতটুকু বাসযোগ্য???
আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বলছে, আদর্শ বৈশ্বিক মানের নিরিখে এই শহরের যাতায়াত, পয়নিষ্কাশন, আবাসন, জ্বালানি, পানিসহ প্রতিদিনের জীবনঘনিষ্ঠ অতিপ্রয়োজনীয় খাতগুলোর অবস্থা মানসম্মত নয়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এর গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর প্রতিবেদনে বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা।
স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামোর বিষয়গুলোর দিকেই লক্ষ্য রাখা হয়-বাসযোগ্য শহরের মান নির্ধারণে। সংস্কৃতি ও মানবিক পরিবেশ বিবেচনায় ঢাকার অবস্থান ভালো হলেও নাগরিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা সব কিছুকে পিছে ফেলে দিচ্ছে- এমন মত নগর গবেষকদের।
সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, এখানে যে সূচকগুলো নিয়ে কাজ করে কিন্তু ঢাকা শহরের একটা প্রান আছে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে এবং আবহাওয়া আছে যা খুবই সমৃদ্ধ। এসব জিনিস কিন্তু এই সার্ভেতে আসে না। আবার দুই শহর দুই মেয়র। এদের সঙ্গে আবার অনেক সংস্থা আছে সেগুলোকে সমন্বয় করে যে ব্যবস্থাপনা সেটার অভাব বহুদিন থেকেই ঢাকায় আছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবীব বলেন, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স এর এই মাপকাঠিতে আমাদের শহরের এই অবস্থানকে প্রত্যাখ্যান করি। আমি বিশ্বাস করি মানবিক এবং মানব কেন্দ্রিক একটি নগর হিসেবে যে মূল্যায়ন সেই মূল্যায়নের ধারাবাহিকতায় এই অবস্থান অপরিপক্ক এবং অসম্পুর্ন। সমন্বিত কার্যক্রম পরিকল্পিত ভাবধারায় এগুতে না পারাতে এখনও আমরা অনেক ধরনের বিপদে রয়েছি।
২০১৯ সালে যে তালিকা করা হয়, তাতে বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ঢাকা। বাসযোগ্যতার সেই হিসাব অনুসারে এবারের জরিপে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে রাজধানীর ঢাকার।
সেরা টিভি/আকিব