লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সামাজিক জীবনে একাকীত্ব দূর করতে মানুষ বন্ধুর খোঁজ করত। আর এখন প্রেমিক-প্রেমিকার খোঁজ করে। প্রেম এমন একটি বিষয় যা হঠাৎ করেই হয়ে যায়। কাউকে অনেকদিন যাবৎ দেখতে দেখতে বা কথা বলতে বলতে আমরা একসময় একে-অপরের প্রতি দুর্বল হই, হয়ত এইভাবেই প্রেমের সূত্রপাত। তবে স্বাভাবিক জীবনে একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠার মধ্যে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি। সেই সঙ্গে এক্ষেত্রে দুজনেই প্রায় সমমনস্ক হন। একে অপরের চাহিদা ভালো করে বুঝতে পারেন। চাওয়া, পাওয়া , লক্ষ্য এই ব্যাপারে দুজনেই থাকে অবিচল।
ছেলে-মেয়ের স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম বন্ধুত্ব। স্কুল পেরিয়ে কলেজ। দুজনের বিষয় আলাদা। কলেজ আলাদা। তবুও বন্ধুত্বে কোনও রকম ছেদ পড়েনি। এই বন্ধুত্বই পরবর্তীতে প্রেমে উন্নীত হয়। আর যখন ওরা বুঝল একে অপরকে ভালোবাসে, দুজন দুজনকে ভালো বোঝে সেখান থেকেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তাই বলে যে ওদের মধ্যে ঝগড়া হয় না এমন কিন্তু নয়। মাঝেমধ্যে তো মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। একে অন্যকে ব্লক করে দেয়, ফোন ধরে না। কিন্তু আবার কদিন যেতে না যেতেই সব ঠিক হয়ে যায়।
এছাড়াও একসঙ্গে সময় কাটানো, রান্না, লং ড্রাইভ, ট্রেকিং সবই চলত। একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া, ভুলবোঝাবুঝি এভাবেই ওরা বেড়ে উঠছিল। আসলে কখন কীভাবে ওরা প্রেমে পড়েছে নিজেরাও জানে না। না রূপকথার মতো প্রেম করা করে নি, কিন্তু বিয়েটা ওদের কাছে ছিল রূপকথা। এখনও ওরা দুজন দুজনের খুব ভালো বন্ধু। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়টা মাঝেমধ্যে ভুলেই যায়। আর ওদের দাম্পত্য জীবনের ছবি দেখে খুশি সকলেই। দিনের পর দিন বরং প্রেম বেড়েছে ওদের মধ্যে।
বর্তমান সমীক্ষাও কিন্তু বলছে, সমবয়সী যুগলদের মধ্যে প্রেম স্থায়ী হয়। সেই সঙ্গে প্রেম জীবনও হয় সুখের। কারণ একসঙ্গে বেড়ে ওঠার মজাটাই আলাদা- একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠার মজাটাই কিন্তু অন্যরকম। কারণ এই বেড়ে ওঠায় অনেক কিছু শেখা যায়। সব সময় যে চলার পথ মসৃণ হবে এমনটা নয়। অনেক ওঠা পড়া থাকে। আর এভাবেই ভরে ওঠে অভিজ্ঞতার ঝুলি।
সহজেই একে অন্যকে বোঝে
একে অন্যকে সহজেই বোঝে কারণ বয়সের ব্যাবধান খুব একটা থাকে না। ঝামেলা, ঝগড়া হলেও পরক্ষণে তা কিন্তু ঠিক হয়ে যায়। দীর্ঘদিন মান-অভিমানের পালা চলে না। সেই সঙ্গে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান সব বজায় থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে নির্ভরযোগ্যতাও।
ভুল করলে সরি বলার মানসিকতা থাকে
মানুষ মাত্রই ভুল। ভুল করে মানুষ। সেই ভুল থেকে আমরা পরবর্তীতে শিক্ষা নিই। কিন্তু দোষ স্বীকারের মধ্যে কোনও রকম লজ্জা নেই। আর সমবয়সীদের মধ্যে এই মানসিকতা থাকে। দোষ স্বীকার করলে রাগ কমে, বরং ভালোবাসা বাড়ে অনেকটাই।
অ্যাডভেঞ্চারের নেশা থাকে
প্রেম কম বরং বন্ধুত্ব বেশি হয় সমবয়সী যুগলদের মধ্যে । ফলে ঝুঁকি নিতেও কিন্তু তারা ভয় পান না। ইচ্ছে হলেই কোনও দুঃসাহসিক অভিযান সেরে ফেলার মতো মানসিকতা এঁদের মধ্যে থাকে। যার ফলে একজোট হয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন।
একে অন্যের পাশে থাকে সব সময়
অনেক সময় সমবয়সী হওয়ায় চাহিদাটা তাদের মধ্যে একই রকম থাকে। ফলে সঙ্গী কী চাইছেন, তার ইচ্ছেপূরণ, স্বপ্ন এসবে সব সময় পাশে থাকেন আরেকজন। সাহায্য করেন, উপদেশ দেন। এভাবেই তারা সফল ভাবে ভবিষ্যতের পথে হাঁটেন। অনেক ছোট ছোট মুহূর্ত ভাগ করে নেন।
সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতেই তাদের ভালোবাসেন
সমবয়সী হলে একসঙ্গে সময় কাটানোর একটা মানসিকতা থাকে। একসঙ্গে আড্ডা, নিজেদের পছন্দের খাবার বানানো, পছন্দের সিরিজ দেখা সব মিলিয়ে একটা ইতিবাচকতার লক্ষণ থাকে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে সন্দেহ প্রবণতা কম। একে অপরের হাত শক্ত করে ধরেই অনায়াসে পেরিয়ে যান কঠিন বাধা।
সেরা টিভি/আকিব