স্পোর্টস ডেস্ক:
রঙিন একটা অধ্যায়ের সমাপ্তিটা বেশ বেদনাবিধুর। অন্তত সার্জিও রামোসের কথা শুনলে আপনার তাই মনে হবে। যে ক্লাবে জীবনের সেরা সময়গুলো কাটিয়ে গেছেন, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়েছেন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে, সেই ক্লাবেই তিনি উপেক্ষিত!
এত এত ট্রফি, অজস্র দিনলিপিতে অসংখ্য জয়ের মধুর সব স্মৃতি উপড়ে ফেলে রামোস উগরে দিলেন নিঠুর সব বাস্তবতার কথা। জানালেন, কী কী হলো তার সঙ্গে!
বিদায়বেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে আরেকবার এলেন প্রিয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যু প্রাঙ্গণে। খোলামেলাভাবে বললেন সবকিছু। আরো একবার রিয়াল মাদ্রিদে ফেরার আকুতি জানিয়ে গেলেন। তবে তার আগে তার সঙ্গে ঠিক কী কী হয়েছে, সেসব শুনে আসা যাক তার মুখেই।
ক্লাব ছাড়া প্রসঙ্গে
আমি থাকতে চেয়েছিলাম। কোনভাবেই ক্লাব ছাড়তে চাইনি। কিন্তু তারা বললো, সময় নাকি শেষ হয়ে গিয়েছে! জানুয়ারিতে আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম ২ বছরের জন্য চুক্তি বাড়াতে। তারা তাতে রাজি হয়নি। ওরা বললো, এক বছরের জন্য বাড়াবে। ক’দিন আগে আমি তাদের সে প্রস্তাব মেনে নিতেও রাজি হই। কিন্তু তারা আমাকে জানালো সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।
ক্লাবটাকে আমি ভালোবাসি। ক্লাবের জন্য জানপ্রাণ উজাড় করে খেলেছি। আমি বুঝতে পারি, সবকিছুরই একটা সময়সীমা থাকে। কিন্তু ওদের প্রস্তাবেরও যে একটা সময় থাকবে এবং সেটি এত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে সেটি বুঝতে পারিনি। বলতে পারেন, আমাকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়েছে।
ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে সম্পর্ক
তার সঙ্গে আমার সবসময়ই ভালো সম্পর্ক ছিল। যদি বলি বাবা-ছেলের মতো, তাহলেও বেশি বলা হবে না। পরিবারের মধ্যেও তো ঝামেলা হয়, তাই না? আমি এর জন্য তাকে অশ্রদ্ধা করবো না। তিনিই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। তাকে আমি সবসময়ই শ্রদ্ধা করবো।
পরবর্তী গন্তব্য
এখনো জানি না আগামী মৌসুমে আমি কোথায় খেলবো। কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। রিয়াল মাদ্রিদের পর আমার আরেকটি প্রিয় ক্লাব সেভিয়া। সেখানে আমি ক্যারিয়ারের শুরুতে খেলেছি। তবে সেখানে এখন যাওয়ার উপায় নেই। আর যদি বার্সেলোনার কথা বলেন, আমি বলবো, না। আমাকে কখনো বার্সেলোনার জার্সিতে দেখবেন না।
সেরা টিভি/আকিব