স্টাফ রিপোর্টার:
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি ডলার সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। পুরো টাকা লুট করতে ব্যর্থ হলেও ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছিল তারা। এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
২০১৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলার সরানোর নির্দেশ পাঠায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। রাত আটটায় শুরু হয় হ্যাকিং। প্রথমেই সফটওয়্যার হ্যাক করে ব্যাংকের প্রধান শাখার ১০ম তলায় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রিন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল হ্যাকাররা। ওই মেশিন থেকেই ব্যাংকের লেনদেনের তথ্য প্রিন্ট করা হতো। প্রিন্টার নষ্ট থাকায় ডলার সরানোর তথ্য পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শনিবার ফেডারেল ব্যাংকের বার্তা পায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা। ততক্ষণে নিউ ইয়র্কে সাপ্তাহিক ছুটি। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার লোপাট করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরে চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে মাত্র পনের মিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়। আর ডিজিটাল ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পাওয়া সব তথ্যই নির্দেশ করছিলো উত্তর কোরিয়ার লাযারুশ নামের একটি হ্যাকার গ্রুপের দিকে। আর পুরো বাংলাদেশ ঘুমিয়ে থাকার সময়টাতে টাকা সরিয়ে নেয় হ্যাকাররা। দুইদিন ছুটির পর ব্যাংক যখন টাকা চুরির কথা জানতে পারে তখন নিউইয়র্কে সাপ্তাহিক ছুটির শুরু। বিশ্বের সবচেয়ে গরিব এবং বিচ্ছিন্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি হওয়া সত্বেও কিভাবে দেশটি প্রযুক্তি খাতে এতটা সাফল্য অর্জন করেছে তা বিস্ময়ের। পুরোপুরি সাফল্য লাভের কয়েক ইঞ্চি দূর থেকে শুধু ভাগ্যের গুণে কিভাবে পরে এই টাকা ফিলিপিন্সে রিজাল ব্যাংকের চারটি ভুয়া অ্যাকাউন্টে নিয়ে সেখান থেকে দ্রুত অর্থ উত্তোলন করা হয়।
সেরা টিভি/আকিব