স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিভাগের ৭ জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু, প্রথম দিনেই মানিকগঞ্জে চলছে ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মানিকগঞ্জসহ ঢাকার চারপাশের ৭ জেলায় কঠোর লকডাউন ও বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু, লকডাউনের প্রথম দিন মানিকগঞ্জে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরের কিছু দোকান পাট বন্ধ থাকলেও বেশিরভাগ ব্যবসায়ী অর্ধেক দোকান খোলা রেখে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটেও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
মঙ্গলবার সরেজমিন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালের দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলতে দেখা গেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা জানিয়েছেন, জেলার প্রবেশমুখ বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, সিংগাইরের ধল্লা, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, জেলা শহরের খালপাড়, জরিনা কলেজ মোড়, বরঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, আরিচা-পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন অযুহাতে বাইরে বের হচ্ছেন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিকল্প পন্থায় যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছেন। এদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, ফেরি বহরে থাকা ১৪টি ফেরি দিয়ে জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি পাড় করা হচ্ছে। যানবাহন পারাপারের সময় কিছু যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়ায় তাদেরকেও মানবিক কারণে পাড় করে দেওয়া হচ্ছে।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ফরিদপুরগামী যাত্রী আব্দুল খালেক জানান, বাড়িতে অসুস্থ বাবাকে দেখতে তিনি ঢাকা থেকে কয়েকটি যানবাহন পরিবর্তন করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ফেরিঘাটে এসেছেন। বাবা অসুস্থ থাকায় তিনি ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এদিকে আব্দুল খালেকের মত আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, পারিবারিক জরুরি কাজের জন্যই তারা ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। তবে, বাস চলাচল না করায় তাদেরকে অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৩৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২২৯৭। জেলা করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু ৪৮ জন। তিনি আরো জানান, জেলায় করোনা সংক্রমণের হার খুব বেশি নয়। সংক্রমণের হার ১১ শতাংশ। গতকাল সোমবার এ হার ছিল ৭.১ শতাংশ।
সেরা টিভি/আকিব