স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার উত্তর পাশের জেলা গাজীপুরকে লকডাউন ঘোষণা এবং দূরপাল্লার বাস তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের দুর্দশার যেন শেষ নেই। সরেজমিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তর প্রান্তের বর্ডারখ্যাত আব্দুল্লাহপুর গিয়ে শত সহস্র মানুষের চলাচলের দুর্গতি নজরে আসে।
এ জন্য হঠাৎ সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তকেই দায়ী করেন অনেকে। অসুস্থতা এবং জীবিকার তাগিদে বের হওয়া লোকদের বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। ঠাকুরগাঁও থেকে স্ত্রী-দুই সন্তান এবং ব্যাগ-বস্তা নিয়ে এসে হাঁটতে হাঁটতে আব্দুল্লাহপুর পার হচ্ছেন ঈমান আলী। শনিরআখড়ার এ ভ্যানচালক তার মা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় সাত দিন আগে গ্রামে যান।মা কিছুটা সুস্থ হওয়ায় গতকাল ঢাকা রওনা হয়েছেন।
বিভিন্ন যানবাহন পরিবর্তন করে বাইপাইল আসেন।বাইপাইল থেকে লেগুনায় আব্দুল্লাহপুর এসেছেন। এখন বেড়িবাঁধ পর্যন্ত হেঁটে সিটি বাসে উঠবেন।এত কষ্ট করে কেন আসলেন জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, গ্রামে খাব কী।তা ছাড়া মাকেও টাকা পাঠাতে হবে।
ঢাকা থেকে গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর এবং উত্তরবঙ্গগামী লোকজন সিটি পরিবহণে এসে নেমে যেতে হচ্ছে আব্দুল্লাহপুর। সুস্থরা হেঁটে ব্রিজ পার হতে পারলেও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন অসুস্থ ও বয়স্করা। ফলে শিকার হচ্ছেন চরম দুর্ভোগের।
উত্তরা পূর্ব ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দেশে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সরকার এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ফলপ্রসূ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল, মাস্ক পরিধান এবং লকডাউন। জনগণ সচেতন হলে এ সময় দুর্ভোগ এড়িয়ে বাসায় থাকবেন।কিন্তু সচেতনতার অভাব এবং জরুরি প্রয়োজনে কিছু মানুষ চলাচল করতে গিয়ে কিছুটা দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা হচ্ছে। আমরা কাজ করছি এবং আশা করছি সচেতনতা বাড়বে। বিড়ম্বনাও কমবে।
সেরা টিভি/আকিব