স্টাফ রিপোর্টার:
করোনার কারণে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সীমিত পরিসরে কক্সবাজারের হোটেল- মোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে যথারীতি বন্ধ থাকবে পর্যটন স্পটগুলো। তবে হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বেশিরভাগ হোটেল খোলা হয়নি। তালা ঝুলে আছে প্রধান ফটকে। পর্যটন স্পট বন্ধ রেখে হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। ৮০% পর্যটকের ওপর নির্ভর করে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলো চলে। প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল এবং গেস্ট হাউস পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল। কিন্ত পর্যটন স্পট বন্ধ থাকলে কিংবা পর্যটক আসতে না পারলে এই হোটেল- মোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলোতে কে থাকবে? কেউ যদি না থাকতে পারেন তাহলে খোলার প্রয়োজন আছে কি না এমন দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে রয়েছে মালিক-ব্যবসায়ীরা।
তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তত এতোদিন পর হলেও জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে হোটেলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’ তারা আশা করছেন- সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হলে পর্যটনস্পটগুলোও খুলে দেওয়া হবে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রায় ৩০০ হোটেল খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনেক দিন বন্ধ থাকায় অপরিস্ককার হয়ে যাওয়া হোটেলগুলো ধুয়ে-মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্টগুলোতে রান্না-বান্নার কাজও চলছে।’
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, ‘হোটেল খোলা হলেও অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন করতে হবে ৫০% রুম বুকিংয়ের পাশাপাশি কোনো পর্যটককে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র বিশেষ কাজে যারা কক্সবাজার যাবে তাদের জন্য এই আবাসিক হোটেলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে দিন দিন করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। গত দেড় বছরে ১২২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। যেখানে ২১ জন রোহিঙ্গা। সবমিলে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কক্সবাজারে। এসব চিন্তা করে হোটেল-মোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলো বন্ধ ছিল।
এদিকে হোটেল-মোটেল, কটেজ ব্যবসায় সমিতির সঙ্গে জড়িতরা পর্যটন স্পট ও হোটেলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন। তাদের দাবি- হয়তো পর্যটন স্পটসহ হোটেল-মোটেল খুলে দিতে হবে, না হয় ভাত দিতে হবে। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০% হোটেল খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।
সেরা টিভি/আকিব