অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ভবন ধসের ঘটনায় এখনো তেমন অগ্রগতি নেই উদ্ধার অভিযানে। ১২তলা ভবনটি ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪ জন। কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো নিখোঁজ দেড় শতাধিক। ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে জীবনের খোঁজ পেতে মরিয়া উদ্ধারকারীরা। দিন রাত চলছে উদ্ধারকাজ।
ধংসস্তুপের ভেতর থেকে কিছু বিচ্ছিন্ন শব্দ শোনা গেছে। জীবিতদের কাছে পৌঁছাতে পার্কিংয়ের জায়গাকে কেন্দ্র করে তাই খোঁড়া হচ্ছে সুড়ঙ্গ। কর্তৃপক্ষ বলছে বিরতি ছাড়াই চলবে উদ্ধার কাজ। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাকি ইউনিটগুলো যেকোন সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় কাজ চলছে ধীরগতিতে। পাশাপাশি বৃষ্টি ও ঝড় উদ্ধার কাজ আরও বেশি কঠিন করে তুলছে।
নিখোঁজদের স্বজনরা উদ্ধার এলাকার আশেপাশে ভিড় করছেন। নিখোঁজদের পরিচয় নিশ্চিতের প্রস্তুতি হিসেবে স্বজনদের ডিএনএর নমুনা নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজদের মধ্যে প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডির বোন, বোন জামাই ও তাদের তিন সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আছে বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক।
এ অবস্থায় ফ্লোরিডাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকেও ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সহায়তা করা হবে। ১৯৮১ সালে নির্মিত ১৩০টির বেশি ইউনিট রয়েছে ভবনটিতে। যার মধ্যে ৮০ টিতেই মানুষ ছিলো। ৪০ বছরের মধ্যেই ভবনটি ধসে পড়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। তবে ভবনটিতে আংশিক সংস্কার কাজ চলছিল।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৯০ এর দশক থেকে ২ মিলিমিটার করে দেবে যাচ্ছিল ভবনটি। নিখোঁজদের মধ্যে প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডির বোন, বোন জামাই ও তাদের তিন সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজদের মধ্যে অনেকেই লাতিন আমেরিকার অভিবাসী বলে জানিয়েছে তাদের কনস্যুলেট। এছাড়া ১০২ জন নিরাপদে রয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ামি কর্তৃপক্ষ।
সেরা টিভি/আকিব