অনলাইন ডেস্ক:
জনপ্রিয় কবি হেলাল হাফিজ গৃহীজীবন ত্যাগ করে আবার হোটেল জীবনে ফিরে গেলেন! আট বছরের হোটেল জীবন শেষে গত পনেরো মাস তিনি গৃহীজীবন কাটান। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) থেকে তিনি আবার হোটেলবাসী হয়েছেন। তবে এবার আর জাতীয় প্রেসক্লাবকে কেন্দ্র করে তোপখানা সড়কের হোটেল কর্ণফুলীতে নয়। এবার কবি বাস শুরু করলেন সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে। অনুজপ্রতিম কবি-ভ্রামণিক মাহমুদ হাফিজকে বলেছেন, হোটেল কর্ণফুলীতে ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ কাব্যগ্রন্থের জন্ম হয়েছিল। কে বলতে পারে বর্তমান নতুন কোন সৃষ্টির ডাকে শুরু হলো তার সন্যাস জীবন।
‘যে জলে আগুন জ্বলে’ খ্যাত তরুণ ও প্রেমিক প্রেমিকাদের তুমুল জনপ্রিয় অকৃতদার কবি হেলাল হাফিজ ২০১১ সাল থেকে হোটেলে বসবাসের মধ্য দিয়ে কবিতাযাপন শুরু করেন। হোটেল জীবনেই প্রকাশিত হয় তাঁর ভিন্নধর্মী কাব্যগ্র্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। ২০১৯ সালে কবি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ল্যাবএইড হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। কিছুটা সুস্থ হলে কয়েকদিনের জন্য অগ্রজের ইস্কাটনস্থ বাসায় কাটিয়ে আবার হোটেলে ওঠেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবসংলগ্ন তোপখানা রোডের হোটেলে অবস্থানকালে কবির জীবন কার্যত ছিল প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক। কবি সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত দিনমানের খাবার খেতেন প্রেসক্লাব ক্যান্টিনে। দিনের বেশিরভাগ কাটাতেন প্রেসক্লাবের মিডিয়া রুমে। শুধু রাত্রিবাস করতেন হোটেলে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনাজনিত লকডাউনে প্রেসক্লাব বন্ধ হলে খাওয়া দাওয়া নিয়ে কবি বিপাকে পড়েন। অগ্রজ দুলাল আবদুল হাফিজ কবিকে নিয়ে যান তাঁর ইস্কাটনের বাসায়। সেই থেকে গতকাল পর্যন্ত করোনাকালের একবছর তিনমাস কাটিয়েছেন গৃহীজীবন।
কবির অনুজপ্রতিম প্রিয়জন মাহমুদ হাফিজ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার তিনি শাহবাগের একটি হোটেল ঠিক করে বৃহস্পতিবার লকডাউনের মধ্যে হোটেলে গিয়ে ওঠেন। ময়মনসিংহ লেনে অবস্থিত ‘সুপারহোম’ নামের হোটেলটিতে তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কবি বলেছেন, আপাতত: তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ এলাকাতেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হয়তো কবিতা তাকে গৃহীজীবন থেকে হোটেলজীবনে ফিরিয়ে এনেছে।
সেরা টিভি/আকিব