স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ। রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহন এবং মানুষের যাতায়াত কম। বৃষ্টির কারণে চেকপোস্টগুলোতে ঢিলেঢালা ভাব। কাউকে আটক, জরিমানা বা কোন গাড়িকে মামলা করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সরকারি নির্দেশনা মেনে সড়কে চলাচল নেই গণপরিবহণের। শুধুমাত্র জরুরি সেবায় নিয়োজিত এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলছে। রাজধানীর পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। দু’একটি খাবারের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে মানুষের উপস্থিতি একদমই কম।
তবে চলমান বিধিনিষেধে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো। পেটের দায়ে যেসব রিকশাচালক বেরিয়েছেন যাত্রী না পাওয়ায় শঙ্কিত তারাও। এক রিকশাচালক বলেন, ‘লকডাউনে এরকমের চেয়ে জেলখানায় পুরলেও দু’মুঠো খাওয়া যাবে। লকডাউনে কোন সাহায্য পাইনা।
আরো এক রিকশাচালক বলেন, সকাল থেকে মাত্র দুইটা প্যাসেঞ্জার পেয়েছি। সবেমাত্র ৫৫ টাকা পেয়েছি। আগের বিধিনিষেধে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিছুটা সহযোগিতা পেলেও চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে তারা কিছুই পাননি বলে অভিযোগ তাদের। ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, দোকান খুলতে দিচ্ছে না। খেতেও পারছি না। তিন মাসের ঘরভাড়া বাকি। বাড়িওয়ালা ছাড়েই না। পানি ও কারেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এর চেয়ে কষ্ট আর কি?
কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে রাজধানীজুড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করলেও অপ্রয়োজনে মানুষ এবং যানবাহন বের না হওয়ায় তাদের কোন বেগ পেতে হয়নি। চেকপোস্টগুলোতে ঢিলেঢালা ভাব। কাউকে আটক, জরিমানা বা কোন গাড়িকে মামলা করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
মতিঝিল থানার টিআই ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সকাল সাড়ে ৬টা থেকে প্রত্যেকটা গাড়িকে চেকিংয়ের আওতায় এনেছি। যারা যুক্তিগত কারণ দেখিয়েছে তাদের ছেড়ে দিয়েছি। যারা অমান্য করছে ও করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সেরা টিভি/আকিব