অভাব আর লোকে পড়ে বরিশালে জাল টাকার প্রশিক্ষণ নেয় রহিম। পরে স্ত্রীসহ শুরু করে এ কাজ। সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় তারা এ কাজ করছিলো এক বছর ধরে। এর আগেও একই অভিযোগে জেল খেটেছে তারা। মুক্তি পেয়ে আবারো একই কাজ করতে থাকেন স্বামী-স্ত্রীর।
জাল টাকা প্রস্তুতকারী ফাতেমা জানায়,’এক বছর ধরে এই কাজ করি। এর আগে আমি একটা মামলা খেয়েছি। অনেক টাকার দেনা ছিলাম। সেই টাকা শোধ করার জন্য করেছিলাম।’
আটকের পর রহিম জানায়, দুইটি প্রিন্টার দিয়েই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা তৈরি করতো তারা। এসময় জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন তথ্য জানায় রহিম। জাল টাকা প্রস্তুতকারী রহিম জানায়,’এক হাজার টাকার বান্ডিল আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকায় নেয়। এরপরের হাতের কাছে তারা বিক্রি করে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায়। এরপরের হাত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। তারপর তারা দোকানে দোকানে দেয়।’
এদিকে, জাল টাকা কিনতে আসা আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জাল টাকার ক্রেতা আনোয়ার বলেন,’আমরা একলাখ টাকার প্যাকেট ১৫/১৬ হাজার টাকায় কিনে নিতাম। এরপর আমরা একপিস একপিস করে বিভিন্ন দোকানে ভাঙ্গাতাম।’
পুলিশ দাবি করছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠে জাল টাকা প্রস্তুতকারী ও কেনাবেচাকারীরা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান,’ঈদুল আযহা আসলে তারা জাল টাকা উৎপাদনের কাজ শুরু করে দেয় বলে প্রাথমিকভাবে তারা জানায়। কোরবানির সময় যেহেতু প্রচুর টাকার ক্রয় বিক্রয় হয়, তাই এই সময়টাতেই তারা জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়।’
সেরা টিভি/আকিব