অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্কের ইতি টানল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই ভাগ হয়ে যাওয়া জমিয়ত এতদিন জোটেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার মাওলানা জিয়াউদ্দিন ও বাহাউদ্দিন যাকারিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ জোট ছাড়ার ঘোষণা দিল। যাওয়ার বেলায় জোটে মূল্যায়ন না পাওয়াসহ বিএনপির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরলেন জমিয়ত নেতারা।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া। লিখিত বক্তব্যে অন্যান্য কারণের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের জোটের প্রধান দল বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিশেষ এক পরিস্থিতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিবাচনী ঐক্য গড়ে তোলে। এরই ধারাবহিকতায় ঐক্যবদ্ধভাবে কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে, জোটের শরিক দলের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, সম্প্রতি শরিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে মতামত না নিয়ে তিনটি আসনের উপনির্বাচন এককভাবে বর্জনের ঘোষণা করা, জোটের কোনো কার্যক্রম না থাকা, বিএনপি মহাসচিবের শরিয়া আইনে বিশ্বাসী না হওয়ার বক্তব্য দেয়া, দেশব্যাপী আলেম উলামাদের জেলজুলুমের প্রতিবাদে কার্যকর কোনো ভূমিকা না রাখা, জোটের শীর্ষ নেতা জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালের পর বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা না জানানো এবং জানাজায় অংশগ্রহণ না করায় জমিয়তের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
বাহাউদ্দিন যাকারিয়া বলেন, ‘এই অবস্থায় জমিয়ত মনে করে ২০ দলীয় জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করাই জমিয়তের জন্য কল্যাণকর। আজ (বুধবার) থেকে জমিয়ত জোটের কোনো কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা আব্দুল বছীর, সহকারী মহাসচিব মুফতি মাসুদুল করীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান, অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুতীউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা বশির আহমদ, মুফতি নাছির উদ্দীন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নাল আবেদীন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী প্রমুখ।
সেরা টিভি/আকিব