স্টাফ রিপোর্টার:
মধ্যরাত থেকে ৮ দিনের জন্য শিথিল হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে খোলা থাকবে শপিংমল, চলবে সব ধরণের গণপরিবহণ। তবে এসময় পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র পরিহার করতে বলা হয়েছে। জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও পরিহার করতে হবে। ২৩শে জুলাই থেকে আবারও দুই সপ্তাহ থাকবে কঠোর বিধিনিষেধ। তবে আটদিনে করোনার সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ানোর আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পহেলা জুলাই থেকে সারা দেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। সংক্রমণের হার এখনও ৩০ শতাংশের আশেপাশে। তবে ঈদ উল আযহা উদযাপন ও ঈদের আগে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বৃহস্পতিবার থেকে বিধি নিষেধ শিথিল করে এরই মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিধিনিষেধ শিথিল করায় বুধবার মধ্যরাত থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা সবধরণের গণপরিবহনের। বৃহষ্পতিবার খুলবে শপিংমল। তবে শিথিলের ঘোষণা শুনে বুধবার সকাল থেকেই বিভিন্নভাবে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ভীড় বেড়েছে সব ফেরিঘাটে। বৃহস্পতিবার থেকে এই ভীড় বাড়বে কয়েকগুণ।
সারাদেশেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। ঈদে ঘরে ফেরা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে শিথিল করা হলেও শতভাগ মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে না পারলে অবস্থা ভয়াবহ হবে বলে শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।
২৩শে জুলাই থেকে আবারো ১৪ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ বহাল হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। তখন সব সরকারি বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে শিল্প কলকারখানা।
সেরা টিভি/আকিব