স্টাফ রিপোর্টার:
২২ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের রুটগুলোয় লঞ্চ চলাচল শুরু হচ্ছে। ঈদুল আজহায় ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধা দিতে মাত্র আট দিনের জন্য লঞ্চ চলাচলের এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএ শুধু ডেক যাত্রীদের ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ঘরমুখো যাত্রীদের টিকিট চাহিদার সুযোগে লঞ্চ মালিকরা কেবিন ভাড়াও বাড়িয়েছেন।
ঢাকা-বরিশাল রুটের বিভিন্ন লঞ্চের বুকিং অফিস ঘুরে জানা গেছে, বুধবার থেকেই ঢাকা থেকে বরিশালমুখী যাত্রীদের অগ্রিম বুকিং দেওয়া শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সোফার ভাড়া ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ এবং সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার টাকার বদলে ১২০০ ও ডবল কেবিন ২০০০ টাকার বদলে ২২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
২০০ টাকা বেশি নিয়ে ভাড়া আদায়ের এ চিত্র নগরীর এমভি সুন্দরবন, এমভি সুরভী, কীর্তনখোলা, মানামী, অ্যাডভেঞ্চারসহ প্রায় সব লঞ্চের বুকিং অফিসে দেখা গেছে। তবে কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক কেবিন যাত্রীদের ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডেক যাত্রীদের ভাড়া ৪০০ টাকা করে নেওয়া হবে। এমভি সুন্দরবন-১০ এর মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে শুধু ডেক যাত্রীদের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো যাবে।
ঢাকা-বরিশাল রুটের স্বত্বাধিকারী লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টুকে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, করোনাকালে এবারও ডেক যাত্রীদের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ছে। সে অনুযায়ী যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা হতে পারে। কেবিনের ভাড়া বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঈদের সময় মাত্র কয়েক দিন লঞ্চ চলবে। ঢাকা থেকে যাত্রীতে পরিপূর্ণ হলেও ফেরার সময় লঞ্চগুলো যাত্রী পাবে না। ভাড়া না বাড়ালে মালিকরা তেলের খরচ কীভাবে ওঠাবেন?
এ ব্যাপারে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে ছয়টি করে লঞ্চ চলবে। শুধু ডেক যাত্রীদের ভাড়া বাড়বে। কেবিনের ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ভাড়া বাড়ানো হয়েছে কিনা, তদন্ত করে দেখা হবে।
সেরা টিভি/আকিব