অনলাইন ডেস্ক:
প্রতিদিনই দুবাইয়ের তাপমাত্রা পার করছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির। এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞানীরা। নতুন প্রক্রিয়ায় বৃষ্টি নামান তারা।
ড্রোন থেকে কৃত্রিমভাবে বৈদ্যুতিক চার্জ ব্যবহার করে আবহাওয়াকে পাল্টে দেন তারা। ফলে মরুর দেশটিতে দেখা মেলে বৃষ্টির। বলা চলে, জোর করেই বৃষ্টি নামিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বৃষ্টিপাতের অফিশিয়াল ভিডিও প্রকাশ করেছেন দুবাইয়ের আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
অতি উষ্ণ আবহাওয়া মোকাবিলায় কোটি কোটি ডলারের প্রকল্পের অংশ এটি। এতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বছরে অপ্রতুল হলেও চার ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক দেশের একটি সংযুক্ত আরব আমিরাত। বর্তমানে মারাত্মক তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে হচ্ছে উপসাগরীয় দেশটিকে। এখানকার বাসিন্দাদের নিয়মিত ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দগ্ধ হতে হচ্ছে।
এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আমিরাতের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মেঘের ওপর বৈদ্যুতিক তাপ ছড়িয়ে বৃষ্টি উৎপাদন করা হবে।
এই পদ্ধতিকে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত বলে আখ্যায়িত করা হয়। এতে মেঘগুলোকে একসঙ্গে জড়ো করে তারপর তা গলিয়ে বৃষ্টি ঝরানো হয়। এ নিয়ে আমিরাতের আবহাওয়া অফিস থেকে জমকালো ভিডিওফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, সড়কে শাঁ শাঁ করে চলা গাড়ির ওপর মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নামছে। সাধারণত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু এই প্রবল বর্ষণ এতটাই নাটকীয় যে তাতে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে।
বলা হচ্ছে, আবহাওয়া প্রযুক্তি এতটাই অতিরিক্ত কিছু করে ফেলছে কিনা; যাতে বন্যা হতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের অধ্যাপক মার্টিন আম্বুম বলেন, বৃষ্টিপাতে সহায়তার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রযুক্তির জন্য আমিরাতে যথেষ্ট মেঘ আছে।
সেরা টিভি/আকিব